এই মুহুর্তে দুনিয়ার সবথেকে
জনপ্রিয় ছেলেদের ব্যান্ড হচ্ছে বিটিএস। আবার একইভাবে এই মুহুর্তে দুনিয়ার সবথেকে
বড় মেয়েদের ব্যান্ড হচ্ছে ব্ল্যাকপিঙ্ক। এই দুটি তুমুল জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ডের
মধ্যে ফেয়ার কম্প্যারিজন টানার জন্য কয়েকটি মানদণ্ড হাজির করা যাক।
টাকা-পয়সা
লেডিস ফার্স্ট। তাই প্রথমে
ব্ল্যাকপিঙ্ক দিয়ে শুরু করি। তাদের কম্বাইন্ড নেট উওর্থ ৬৮ মিলিয়ন ডলারের মতো
হওয়ার কথা। ব্ল্যাকপিঙ্ক মেম্বারদের মধ্যে লিসা সবথেকে বেশি টাকার মালিক। গান, সলো
আর্নিং ও স্পনসরশিপ থেকে তার নেট উওর্থ প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার। তার পরেই আছেন জেনি,
যার নেট উওর্থ ১৮ মিলিয়ন ডলার। তিনি শানেল ও জেন্টেল মন্সটারের মতো ওয়ার্ল্ডওয়াইড
পপুলার ব্র্যান্ডগুলোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। বাকি দুই মেম্বার জিসু ও রোজের নেট
উওর্থ ১৫ মিলিয়ন ডলার করে।
অন্যদিকে, বিটিএসের নেট উওর্থ ১৪০
মিলিয়ন ডলার। ধারণা করা হয় ৭ জন মেম্বারের প্রত্যেকের নেট উওর্থ ২০ মিলিয়ন ডলার
করে। মিউজিকের পাশাপাশি তাদেরও আয়ের মেইন সোর্স বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির ব্র্যান্ড
অ্যাম্বাসেডর হওয়া। অর্থাৎ টাকা পয়সার দিক দিয়ে বিটিএস এগিয়ে। যদিও তারা
ইন্ডাস্ট্রিতে আগে আসার সুবিধাটিও পেয়েছে।
পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন
অ্যাওয়ার্ড
যদিও ব্ল্যাকপিঙ্ক কে-পপ জগতে
এসেছে বিটিএসের প্রায় ৩ বছর পরে। তবে তারা ২০১৬ এর আগস্টে প্রথম অ্যালবাম বের করার
পর থেকেই অ্যাওয়ার্ড জিতে আসছে। প্রথম বছরেই তারা হালিউ কে ফ্যান্স চয়েজ
অ্যাওয়ার্ডে বেস্ট গার্ল গ্রুপ ও বেস্ট রুকি গ্রুপের অ্যাওয়ার্ড জেতে। মেলন মিউজিক
অ্যাওয়ার্ডে জিতে নেয় বেস্ট নিউ ব্যান্ডের অ্যাওয়ার্ড। এছাড়াও এমনেট এশিয়ান মিউজিক
অ্যাওয়ার্ডে হুইসেল গানের জন্য তারা বেস্ট অফ নেক্সট ফিমেল আর্টিস্ট ও বেস্ট
মিউজিক ভিডিওর অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। এরপর আর কোনো থামাথামি নাই। একের পর এক
অ্যাওয়ার্ড জিতেই চলেছে তারা। এখনো পর্যন্ত তারা মোট ১০৬ টি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে এবং
৩৩৯ টি নমিনেশন পেয়েছে। অর্থাৎ প্রতি বছর অ্যাভারেজে ১৩ টি করে অ্যাওয়ার্ড জিতেছে
তারা।
এবার যদি বিটিএসের দিকে দেখা হয়, তারাও ইন্ডাস্ট্রিতে এসেই বেস্ত নিউ আর্টিস্ট মেল গ্রুপ, ওয়ার্ল্ড রুকি অ্যাওয়ার্ড, রুকি অফ দ্য ইয়ার, বেস্ট আইকন অ্যাওয়ার্ড, পপুলারিটি অ্যাওয়ার্ডসহ আরও অনেক পুরষ্কার জিতেছে। এই ১১ বছরে তারা টোটাল অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ৫২৪ টি! নমিনেটেড হয়েছে মোট ৭৪৩ বার! অর্থাৎ প্রতি বছর অ্যাভারেজে প্রায় ৪৭ টি করে অ্যাওয়ার্ড জিতেছে তারা। অর্থাৎ অ্যাওয়ার্ডের দিক দিয়েও বিটিএস উইনার।
সোশ্যাল মিডিয়া
স্ট্যাট
চার্টে টপ করা, সম্পূর্ণ স্টেডিয়াম সোল্ড আউট হয়ে যাওয়া, অ্যাওয়ার্ড জেতা সবই বিরাট অ্যাচিভমেন্ট। কিন্তু আমরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বাস করি। তাই পপুলারিটির বিচারটা ফাইনালি সোশ্যাল মিডিয়ার থ্রুতেই হয়। ইউটিউব দিয়ে শুরু করা যাক। বিটিএসের ইউটিউব সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৭৭.৫ মিলিয়ন। অন্যদিকে ব্ল্যাকপিঙ্কের ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার ৯৩ মিলিয়ন!
অন্যদিকে ইন্সটাগ্রামে বিটিএসের
মোট ফলোয়ার ৭৪.৪ মিলিয়ন। ব্ল্যাকপিঙ্কের ফলোয়ার সংখ্যা ৫৮ মিলিয়ন।
ফেইসবুকে আবার ব্ল্যাকপিঙ্কের
ফলোয়ার ২০ মিলিয়ন। অন্যদিকে বিটিএসের ২১ মিলিয়ন। টুইটারে বিটিএসের ফলোয়ার সংখ্যা
৪৮.৬ মিলিয়ন। ব্ল্যাকপিঙ্ক এদিক দিয়ে একটু বেশিই পিছিয়ে। ১০.২ মিলিয়ন টুইটার বা
এক্স ফলোয়ার তাদের। টিকটক ফলোয়ারের দিক দিয়েও বিটিএস এগিয়ে। তাদের ফলোয়ার ৬৪.৩
মিলিয়ন। আর ব্ল্যাকপিঙ্কের মোট টিকটক ফলোয়ারের সংখ্যা ৪৭ মিলিয়ন।
অর্থাৎ ব্ল্যাকপিঙ্ক ওনলি
ইউটিউবেই বিটিএসের থেকে এগিয়ে। বাকি সবগুলো মেজর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেই
বিটিএস এগিয়ে আছে।