ঢাকাই সিনেমায় ডিপজলের আগমণ ঘটে মনতাজুর রহমান আকবরের হাত ধরে। ১৯৯৩ সালে টাকার পাহাড় নামক সিনেমার মাধ্যমে অভিষেক হয় তার। যদিও শ্যুট করার সময়কাল হিসেব করলে সতী কমলা ছিল তার প্রথম সিনেমা। তবে তিনি ব্রেকথ্রু পান ভিলেইনরূপে আবির্ভুত হয়ে। কাজী হায়াতের তেজী সিনেমায় প্রথম খলনায়ক হিসেবে পর্দায় আসেন তিনি। এরপর একে একে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন আম্মাজান, ইতিহাস, বস্তির রানী সুরিয়া, টপ টেরর, জিন্দা দাফন, কাল্লু মামা, লাট্টু কসাই, খাইছি তোরে, নাটের গুরু, হীরা চুন্নি পান্না সিনেমায়। সিনেমাগুলোতে ভিলেইনরূপে অদ্ভুত সব ডায়লগের জন্য রাতারাতি জনপ্রিয়তা পান তিনি।
পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন
তার তুমুল জনপ্রিয় কয়েকটি ডায়লগ
হচ্ছেঃ
‘আহো ভাতিজা আহো’
‘তর মরণের চুলকানি উঠচে? আমি তরে মলম লাগায়া দিমু’
‘আমারে চিনছোস? আমি সানডে মানডে কোলোজ করছি। ওয়ান টুতে খালাস করছি।’
‘সিল মাইরা দিমু’
‘হিসাব বোঝোনা, দুদু খাও?’
ক্যারিয়ারের পরের দিকে তিনি
খলনায়কের চরিত্র করা বন্ধ করে দেন। আবির্ভুত হন নায়ক হিসেবে। সেসময়ে শিশুশিল্পী
দিঘীর সাথে করা চাচ্চু সিনেমাটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। ২০১২ সালের পরে তিনি সিনেমায়
অনিয়মিত হয়ে পড়েন।
তবে এখনো তার করা চরিত্রগুলো এবং
তার অদ্ভুতুড়ে সব ডায়লগগুলো খুবই জনপ্রিয়। ঢাকাই সিনেমার অন্যতম সেরা এন্টারটেইনার
হিসেবেই মানে তাকে সিনেমাপ্রেমীরা।