এলেন, জয় করলেন, চলে গেলেন। বাংলা চলচ্চিত্রে ধুমকেতুর মতো যে এসেছিলেন, জয় করেছিলেন দর্শক মন, তারপর হুট করেই চলে গেলেন সবাইকে কাঁদিয়ে। বলছিলাম বাংলা সিনেমার এক অনন্য নক্ষত্র, সালমান শাহ’র নাম।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর হঠাৎ পৃথিবী থেকে বিদায় নেন সালমান শাহ। মাত্র তিন বছরের ফিল্ম ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এরমধ্যে শাবনূরের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ১৪টি সিনেমায়। শাবনূরের সঙ্গে সালমান শাহ ঢালিউড চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক অন্যতম জুটি। ১৯৯৪ সালে ‘তুমি আমার’ সিনেমাতে প্রথম একসঙ্গে অভিনয় করেন তারা। সালমান শাহ’র অভিনিত দ্বিতীয় সিনেমা এটি। এই সিনেমায় সাফল্যের পর সালমান-শাবনূর জুটিকে নিয়ে একের পর এক সিনেমা নির্মাণ শুরু হয়। তবে সালমান শাহ এর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অকালেই এই জুটি ভেঙে যায়।
পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন
সালমান শাহ’র ২৬ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে শাবনূর তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে একটি পোষ্ট দেন। সালমান শাহকে স্মরণ করে শাবনূর লিখেন, ‘যেখানেই থাকো, ভালো থেকে, সুখে থেকো। আল্লাহ তোমাকে জান্নাত দান করুন।’
সালমান শাহ’র মৃত্যুর পড়ে গুঞ্জন ওঠে, শাবনূরের সাথে সালমানের গোপন প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তবে এ বিষয়টি শাবনুর পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, “প্রেম নয়, সালমানের সঙ্গে আমার ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল। সালমানের নিজের ছোট বোন ছিল না, তাই আমাকে ছোট বোনের মতোই দেখতেন। এটাও ঠিক, সালমান শাহ আর আমাকে নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু এসবের কোনোটিই সত্য নয়। ছোট বোন হিসেবে আমাকে তিনি ‘পিচ্চি’ বলে ডাকতেন। সালমানের মা-বাবাও আমাকে আদর করতেন। সালমানের কারণে আমাকে তাদের মেয়ে হিসেবেই দেখতেন। সালমান খুব আন্তরিক আর কাজ পাগল ছিলেন। আমাদের দু’জনের বোঝাপড়াটা ছিল চমৎকার। বলতে পারেন, একে অন্যের চোখের ইশারা বুঝতে পারতাম”।
১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সালমান শাহ’র চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেন তিনি। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে কেয়ামত থেকে কেয়ামত, তুমি আমার,
স্বপ্নের
ঠিকানা, আঞ্জুমান, মহামিলন, আশা ভালোবাসা, বিচার হবে, অন্তরে অন্তরে, সুজন সখী, বিক্ষোভ, স্নেহ, প্রেমযুদ্ধ, কন্যাদান, দেনমোহর,
এইঘর এই সংসার, প্রিয়জন, তোমাকে চাই, স্বপ্নের পৃথিবী, সত্যের মৃত্যু নেই, জীবন সংসার, মায়ের অধিকার, চাওয়া থেকে পাওয়া, প্রেম পিয়সী, স্বপ্নের নায়ক, শুধু তুমি, আনন্দ অশ্রু উল্লেখযোগ্য।