বাংলাদেশ ওটিটির দুনিয়ায় প্রবেশ করে ২০২০ সালে। হইচই বাংলাদেশের সিরিজ তাকদীরের মাধ্যমে। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংসের শুরু হয়। এরপর একে একে দারুণ সব ওয়েব সিরিজ ও ওয়েব ফিল্ম উপহার দিয়ে যাচ্ছে চরকি, হইচই, বিঞ্জের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো। চলুন দেখে নেওয়া যাক বাংলা ওটিটির সেরা পাঁচটি কন্টেন্ট কি কি?
তাকদীর
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এ তাকদীর বের হওয়ার পরে রীতিমত হইচই পড়ে যায় বাংলাদেশ ও কলকাতায়। ব্যাপক প্রশংসিত হয় সৈয়দ শাওকীর এই সাইকোলজিকাল থ্রিলার সিরিজটি। একজন ফ্রিজার ভ্যান ড্রাইভার ও একটি পলিটিকাল ডেডবডিকে কেন্দ্র করে এগোতে থাকে গল্প। এই সিরিজে অভিনয় করে চঞ্চল চৌধুরী ও সোহেল মণ্ডল তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন দুই বাংলায়। রিসেন্টলি ডিজনি+হটস্টার এই সিরিজটির অফিশিয়াল তেলুগু রিমেক তৈরি করেছে।
মহানগর
এখনো
পর্যন্ত বাংলা ওটিটির সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট হচ্ছে মহানগর। আশফাক নিপুনের এই পলিটিকাল
থ্রিলারে লিড রোলে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। ওসি হারুন নামক তার করা চরিত্রটি রীতিমত
আইকনিক হয়ে উঠেছে। তার বিভিন্ন ডায়লগ সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক পরিমাণে ভাইরাল হয়। এছাড়াও
ছোট চরিত্র করেও এই সিরিজ দিয়েই বড় আকারে পরিচিতি লাভ করেন নাসির উদ্দিন খান। এখনো
পর্যন্ত সিরিজটির দুটি সিজন বের হয়েছে। তৃতীয় সিজনে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে
অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে।
জাগো বাহে
এটি
একটি অ্যান্থোলজি সিরিজ। তিন পর্বে বাংলাদেশের ইতিহাসের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে
দেখানো হয়েছে। ১৯৫২, ১৯৭০ ও ১৯৭১ কে তুলে ধরেছেন নির্মাতা সিদ্দিক আহমেদ, সুকর্ণ শাহেদ
ধীমান ও সালেহ সোবহান অনীম। চরকির এই সিরিজটি চমৎকার গল্প, অভিনয় ও টেকনিকাল অ্যাস্পেক্টসের
কারণে প্রশংসিত হয়। ভীতু চাকরিজীবী ইলিয়াস চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী, জহির রায়হানের চরিত্রে
মোস্তফা মনোয়ার ও বাঙ্কার বয়ের চরিত্রে আব্দুল্লাহ আল সেন্টুর অভিনয় ছিল দেখার মতো।
পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন
পেট কাঁটা ষ
চরকির
এই সাইকোলজিকাল হরর অ্যান্থোলজি সিরিজটি নির্মাণ করেছেন হুমায়ূন আহমেদ এর ছেলে নুহাশ
হুমায়ূন। চারটি আলাদা আলাদা পর্বে বাংলার বিভিন্ন মিথকে এস্টাব্লিশ করার চেষ্টা করেছেন
তিনি। মেছো ভূত, মিষ্টির দোকানে জ্বিন, খোলা চুলে সন্ধায় বের হতে নেই, নিশির ডাকে সাড়া
দিতে নেই – এই চারটি মিথকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে গল্পগুলো। সবগুলো পর্বই দর্শকরা
পছন্দ করেছে। তবে আলাদাভাবে ‘মিষ্টি কিছু’ এপিসোডটি সম্ভবত বাংলা ওটিটির ইতিহাসে অন্যতম
সেরা কন্টেন্ট হয়ে থাকবে। চঞ্চল চৌধুরী তার ক্যারিয়ারের সেরা অভিনয় করেছেন এই চরিত্রে।
সাথে নুহাশের ডায়লগ রাইটিং ও স্ক্রিন প্রেজেন্টেশন ছিল অনবদ্য। সিরিজটির সিজন টু আশার
সম্ভাবনা রয়েছে।
শাটিকাপ
বাংলা
ওটিটিতে শাটিকাপ একটি রেভুল্যুশনের নাম। নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলামের এই ইন্ডিপেন্ডেন্ট
সিরিজটি পরে চরকির ব্যানারে রিলিজ পায়। এখানে রাজশাহীর মাদক চোরাকারবারিদের গল্প দেখানো
হয়। সম্পূর্ণ সিরিজটি তৈরি হয়েছে রাজশাহীর আঞ্চলিক ভাষায়। অভিনেতা থেকে শুরু করে সিরিজটির
সকল কলাকুশলীরাই ছিলেন একদম নতুন মুখ। মুক্তির পরে দারুণ সাড়া পায় সিরিজটি।
এছাড়াও
আরো কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো স্পেশাল মেনশন ডিজার্ভ করে। যেমনঃ এই মুহূর্তে, নিখোঁজ,
ঊনলৌকিক, রেডরাম, নেটওয়ার্কের বাইরে, কারাগার, অগোচরা, মারকিউলিস, মাইশেলফ অ্যালেন
স্বপন।