আসছে নতুন মহা*মারী 'এক্স'!! মা*রা যাবে ৫ কোটি মানুষ? | ANOTHER DEADLY PANDEMIC "DESEASE X"

Author
0

 


আগস্ট ১৪, ১৯৪৫। শেষ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ভয়াবহ সেই সময়ের পরে পৃথিবীর ক্যালেন্ডার বদলেছে আরো ৭৮ বার। এই সময়টাতে পৃথিবীজুড়ে মানুষজনের সবথেকে বাজে সময় কেটেছে কোনটা? নিশ্চয়ই করোনা মহামারীর সেই সময়টা? ২০১৯ এর ডিসেম্বর থেকে ২০২২ এর জুলাই। এই সময়ে প্রায় ৬৯ লাখ ২১ হাজারের মতো মানুষ মারা গেছে অসহায়ের মতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এত মৃত্যু পৃথিবী দেখে নি। কিন্তু পৃথিবী এবার দেখতে চলেছে আরো ৭ গুণ বড় মহামারী! ধারণা করা হচ্ছে এতে মারা যাবে প্রায় ৫ কোটি মানুষ!


যুক্তরাজ্যের ভ্যাক্সিন টাস্কফোর্সের প্রধান, ডেইম কেইট বিংহাম। তার মতে নতুন এই মহামারীতে মারা যেতে পারে ৫ কোটি মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর নাম দিয়েছে ‘এক্স’। না, এর সাথে এলন মাস্ক কিংবা টুইটারের কোন সংযোগ নেই।

জোকস অ্যাসাইড, এক্স নামক এই রোগটি যে ডেঞ্জারাস হতে যাচ্ছে তা ধারণা করলেও, এর প্যাথোজেন কিভাবে মানুষের ক্ষতি করবে সেটা এখনও খুঁজে বের করা যায় নি। অর্থাৎ এই প্যাথোজেন যেমন ভাইরাস হতে পারে, তেমনি আবার ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসও হতে পারে। ফাঙ্গাসের কথা শুনে হয়তো কারো কারো এইচবিওতে রিসেন্টলি বের হওয়া সিরিজ ‘দ্য লাস্ট অফ আস’ এর কথাও মনে পড়তে পারে।


পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন



যাই হোক, এক্স নামক এই রোগের চিকিৎসাও এখনো তৈরি হয় নি। অনেক বিজ্ঞানীর মতে এই ডিজিজ এক্স ইবোলা বা করোনার মতো সংক্রামক বা ছোয়াচে হতে পারে। ডেইম আরো জানিয়েছেন, বিজ্ঞানীরা আপাতত ২৫টি ভাইরাসের গোত্র নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রত্যেকটিতে হাজারটি আলাদা আলাদা ভাইরাস আছে। এদের মধ্যে কোনও একটি ভাইরাস মারাত্মক মহামারিতে পরিণত হতে পারে বলেই তারা আশঙ্কা করছেন। যার মধ্যে এক্স নিয়েই আশঙ্কা সবথেকে বেশি।

তবে আশার ব্যাপার হচ্ছে, বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা শুরু করেছেন। উইল্টশায়ারের হাই সিকিউরিটি পোর্টন ডাউন ল্যাবরেটরি কমপ্লেক্সে শুরু হওয়া এই গবেষণার জন্য একসাথে হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী। মূলত যে সব ভাইরাস পশুপাখির শরীর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে মহামারি সৃষ্টি করতে পারে সেইগুলির উপরেই কাজ করছেন তারা। যার মধ্যে বার্ড ফ্লু, মাংকি ভাইরাস ও হান্টা ভাইরাসও আছে।


রিসেন্টলি ব্রিটিশ নিউজপেপার ডেইলি মেইল একটি রিপোর্ট করেছে এই ব্যাপারে। সেখানে কেইট বিংহামের একটি ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, "করোনার চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করবে নতুন এই রোগ। এবার আর ভ্যাকসিন তৈরিতে এত সময় লাগানো যাবে না। ম্যাস ভ্যাকসিন প্রসেস চালাতে হবে দ্রুত। এক্স রোগ যদি ইবোলা ভাইরাসের মতো হয়ে যায়, তাহলে পরিস্থিতি হবে মারাত্মক ভয়াবহ।"



এক্সপার্টরা বলছেন, করোনার চেয়েও ২০ গুণ শক্তিশালী হতে পারে ডিজিস-এক্স। এবং এতে প্রাণহানির সংখ্যা ১৯১৮-১৯ সালের স্প্যানিশ ফ্লু-এর মতোই হবে। ১০০ বছরেরও বেশি সময় আগের ওই মহামারিতে পাঁচ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল। বিংহাম আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেন, বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। ধ্বংস করা হচ্ছে নদী-নালাও। এর ফলে বনের প্রাণীদের থেকে মানুষের দূরত্ব দিন দিন কমছে। মূলত এই কারণেই প্রাণীদের মধ্যে থাকা ভয়ংকর ভাইরাসগুলো আমাদের সমাজেও চলে আসছে। এবং আমরা সতর্ক না থাকায় তা মহামারীর আকার ধারণ করছে।

মতামত

0Comments

আপনার মতামত লিখুন (0)

#buttons=(ঠিক আছে!) #days=(20)

এই ওয়েবসাইটি ব্যবহারে আপনার অভিজ্ঞতাকে আরো উন্নত করার জন্য কুকিজ ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু আমরা কখনই আপনার সম্মতি ছাড়া আপনার কোনো ডাটা সংরক্ষণ করব না। আরো জানুন
Ok, Go it!