বলিউডের লাইম লাইটে আসা অনেকের কাছেই স্বপ্ন। তবে এখানে আসলেই শুধু হয় না, অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে হলে হতে হয় সবার থেকে আলাদা। বিশেষত নায়িকাদের মধ্যে চলে নিজেকে আরও আকর্ষনী করে তোলার প্রতিযোগিতা। কিভাবে আরো বোল্ড লুকে দর্শকদের চোখ ধরে রাখা যায়, সেটাই যেন হয় একমাত্র তপস্যা। তবে এই রেসে কেউ কেউ টিকে থাকে, কেউ হারিয়ে যায়। কেউ কেউ সারাজীবনের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে শেষও করে দেয় নিজেকে।
বাচ্চা শহীদ কাপুরের পাশে দাঁড়িয়ে ‘আই অ্যাম আ কমপ্ল্যান গার্ল’ বলা ৪ বছরের সেই বাচ্চা মেয়ে আয়েশা তাকিয়ার জন্ম ১৯৮৬ সালের ১০ এপ্রিল। শৈশব থেকেই দু’চোখে ছিল তার অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে মডেলিং শুরু করেন তাকিয়া। বেশ কিছু বিজ্ঞাপনেও কাজ করেন। ছোট থেকেই পরিনত শারীরিক গঠন হওয়ার কারণে মাত্র ১৮ বছর বয়সে বলিউডে প্রবেশ আয়েশার।
আয়েশার অভিনয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় ২০০৪ সালে। ‘টারজান:
দ্য ওয়ান্ডার কার’ সিনেমার হাত ধরেই অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন তিনি। আয়েশার মিষ্টি রূপের জাদুতে মুগ্ধ হন দর্শকরা। প্রশংসিত হন তাঁর অভিনয়েও। ওই সিনেমার জন্য তিনি ‘সেরা নবাগত অভিনেত্রী’ হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পান। এর পর ‘ওয়ান্টেড’ সিনেমাতে সালমান খানের সাথে তার ক্যামিষ্ট্রি ভক্তরা পাগল করে।
ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে হঠাতই বিয়ে করে ফেলেন আয়েশা। ২০০৯ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেন ফারহান আজমিকে। বিয়ের পর পর্দায় সেভাবে আর তার উপস্থিতি পাওয়া যায় না। বছরখানেক গ্যাপের কারণে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি যেন ভুলেই যায় আয়েশার নাম। অনেকবার পর্দায় ব্যাক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার আর সেভাবে জায়গা করতে পারেননা আয়েশা। কারণটা কি তার বিয়ে?
উহু! আয়েশা তাকিয়া বলিউডে বিখ্যাত হয়েছিলেন তার মোহনীয় হাসির কারণে। কিন্তু হঠাৎই যেন কি হয় আয়েশার। নিজেকে আরও আকর্ষনিয় করে তোলার ইচ্ছা জাগে তার।
সুন্দরি হতে ঠোঁট, ভ্রু এবং কপালের করান একাধিক সার্জারি। ফলস্বরূপ সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচুর ট্রোলড হন তিনি।
অনেকে মনে করেন, এই সিদ্ধান্তটাই ছিলো নায়িকার জীবনে সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত। এরপর ধীরে ধীরে বলিউড থেকে সরে যায় আয়েশা।
হারিয়ে যাওয়া মানেই ভুলে যাওয়া। আয়েশা এখন পরিবারের সাথেই সময় কাটিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তবে এটা সত্যি, তার সেই আগের শিশুসুলভ চেহারা মানুষ মনে রাখবে।