১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে নাসার তৈরী ‘অ্যাপোলো ইলাভেন’ নামক একটি মহাকাশযানে চড়ে মার্কিন নভোচারি নীল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন প্রথম চাঁদে অবতরণ করেন। সেই ঘটনা বিশ্বজুড়ে দেখেছেন কোটি কোটি মানুষ। কিন্তু পৃথিবীতে এখনো এমন বহু মানুষ আছেন, যারা বিশ্বাস করেন, মানুষ আসলে কোনদিন চাঁদে যায়নি। এ নিয়ে নানা রকম তর্ক বিতর্ক হয়ে আসছে বহু বছর ধরেই। তবে একটা প্রশ্ন প্রতিবারই জেগে ওঠে, অ্যাপোলো মিশনে সফলতা পাওয়ার পর অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। এর পরে কেনো পুনরায় নাসা আর কোনোদিন চাঁদে যায়নি বা চেষ্টাও করেনি!
পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন
আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদকে দেখতে পাই। চাঁদেও কি এমন কেউ আছে যে আমাদের দেখতে পায়? আপনাদের কি মনে হয় এই বিশ্বে শুধু মাত্র আমরাই আছি? পৃথিবী তো এই বিশ্বের ছোট্ট একটা গ্রহ মাত্র এই বিশ্বে এইরকম অসংখ্য গ্রহ রয়েছে যেখানে প্রাণী থাকতে পারে।
অ্যাপোলো ৯ মিশনে যখন মহাকাশচারীরা চাঁদের কাছে পৌঁছায় তখন তারা দেখে যে, ওইখানে আরো কিছু মহাকাশযান আগে থেকেই রয়েছে, যেগুলো তাদের মহাকাশযানের নিচে উড়ছিল। এউএফও বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, নাসার সঙ্গে এলিয়েনদের যোগাযোগ আছে এবং এর শুরু হয় অ্যাপোলো মিশনের মাধ্যমে। ১৯৪৭ সালে জুলাই মাসের আট তারিখে নিউ মেক্সিকোর ‘রজওয়েল’এ একটি এলিয়েন স্পেস ক্র্যাশ করে যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নাসা আমেরিকান সরকারের সাহায্যে সেইখানে পৌঁছায় এবং পুরো জায়গাটিকে ঘিরে ফেলে। সেখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত চিরতরে নিষিদ্ধ করে দেয়। সেখানে উনারা দেখেন যে, এটি একটি ভিন গ্রহের স্পেস শিপ এবং ওই স্পেস শিপের সব এলিয়েনদের মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলেও, একটি এলিয়েনকে জীবিত পাওয়া যায়। সেই সময় ইউএসএতে কোল্ড ওয়ার চলছিল। বলা হয় যে, এই এলিয়েন মহাকাশযানটি পাওয়ার পরে আমেরিকা অনেক নতুন টেকনোলজি পেয়ে যায়। যার সাহায্যে দশ বছরের মধ্যেই আমেরিকা খুব উন্নতি করে। নতুন নতুন টেকনোলজি আবিস্কার ও অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র আবিস্কার করে ফেলে। এই দশ বছরে তারা হাইড্রোজেন বোমা সোলার পাওয়ার লেসার এবং আরো অনেক কিছু আবিস্কার করে ফেলে যেগুলো পৃথিবীতে একেবারে নতুন ছিল। এছাড়াও তারা নিজেদের পাওয়ারফুল মহাকাশযান বানায়। ১৯৬৪ সালে নাসা একটি স্যাটেলাইট লঞ্চ করে যার নাম ছিল ‘রেঞ্জার সেভেন’। যা চাঁদের কক্ষপথ থেকে নাসাকে ৪,০৬৭ টি ছবি পাঠায়। এর মধ্যে খুব অল্প কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছিলো। আসলে এটি এমন কিছু ছবি তুলেছিল যা নাসা কোনোদিনও প্রকাশ করতে চায়নি।
১৯৬৫ সালের জুন মাসে নাসার একটি ডকুমেন্টে বলা হয় যে,
নাসার একজন এস্ট্রোনাট ‘জেমস মাক ডেভিড’ এবং নাসার মধ্যে কিছু কথা হয়। তিনি বলেন যে, চাঁদে একটি অন্য মহাকাশযান দেখেছেন তিনি। তিনি এটির একটি স্পষ্ট ছবি নেয়ার জন্য ওই মহাকাশযানটির দিকে এগিয়ে যান কিন্তু সূর্যের তীব্র আলোতে তিনি সেটির স্পষ্ট ছবি নিতে পারেননি এবং ধীরে ধীরে ওই স্পেস শিপটি আলোর মাঝে মিলিয়ে যায়। এরপরে নাসা মহাকাশচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য এমন কিছু কোড ওয়ার্ড বের করে যাতে কিছু দেখা গেলেও সেটি কেউ বুঝতে না পারে। এই কোড ওয়ার্ডগুলো হল, ফায়ার, বগি, সান্টা ক্লস ইত্যাদি।
১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই “এপলো ইলাভেন” লঞ্চ হয়। এই মিশনটির দুইটি উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমটি হলো চাঁদ আসলে কেমন এটি বোঝা, আর দ্বিতীয়টি হল যদি ওইখানে কোনো এলিয়েন থেকে থাকে তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। ‘মাইকেল কলিন্স’ যখন সামনে থেকে চাঁদকে দেখেন তখন তিনি প্রচণ্ড ভয় পান, যখন নীল আর্মস্টং এবং নাসার কথোপকথন হচ্ছিল তখন হঠাৎই এইটির লাইভ টেলিকাস্ট দুই মিনিটের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু এমন কি ঘটেছিল এই দুই মিনিটের মধ্যে যা নাসা কাউকে দেখাতে চাইছিল না। আমরা এতদিন পর্যন্ত এটাই জানতাম যে, অ্যাপোলো মিশনে তারা চাঁদের মাটিতে শুধুমাত্র আমেরিকান পতাকাই উত্তলন করে এসেছিলেন। কিন্তু নীল আর্মস্টং সেখানে পতাকা ছাড়াও অন্য দুইটি জিনিস রেখে এসেছিলেন। তার একটি হলো খাটি সোনার তৈরি গাছের পাতার প্রতিকৃতি। আর অন্যটি হলো সিলিকন ডিস্ক যেখানে একটি ম্যাসেজ রেকর্ড করা ছিল। যেটিতে ৭৩টি দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছাবার্তা রেকর্ড করা ছিল। যার মধ্যে প্রধানত ইউএসএর শুভেচ্ছা এবং নাসার উচ্চপদস্থ আধিকারিদের বার্তা রেকর্ড করা ছিল।
যেখানে নাসা বলে এসেছে যে, তাদের সঙ্গে এলিয়েনদের কোনো যোগাযোগ নেই বা তারা কোনো দিন অন্য কোনো মহাকাশযান দেখেননি তাহলে এই সোনার পাতা আর রেকর্ডেড সিডি রাখার উদ্দেশ্য কি ছিল? এমন কি কারণ ছিল যে নাসা তারপর থেকে চাঁদে কোনো স্পেস শিপ পাঠায়নি। ২০০২ সালে ‘গ্যারি ম্যাকিনন’ নামের একজন হ্যাকার নাসার সার্ভার হ্যাক করে ২৭৮ জিবি ডাটা পাবলিক করে দেয়। যেটি আজ পর্যন্ত হওয়া সব থেকে বড় হ্যাকিং। এ কারণে তার ৭০ বছরের জেল এবং দুই মিলিয়ন ডলার জরিমানা হয়।