ছোটো থেকেই সিনেমার ভক্ত ছিলেন ‘কঙ্গনা রানাওয়াত’। আর ছোটো থেকেই বিতর্কের প্রতি আকর্ষণও ছিল তাঁর যথেষ্ট। তাই পরিবারের অমতে সিনেমায় নামার স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি থেকে মুম্বাইতে পালিয়ে এসেছিলেন কঙ্গনা। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৫। হিমাচলের ছোট্টো এক গ্রামের মেয়ের কাছে মুম্বইয়ের মতো বড় শহর তাক লাগানোর মতোই ছিল। হাতে টাকা ছিল কম, আবার ভাষার সমস্যাও ছিল। বয়স যখন মাত্র ১৬ তখন মুম্বইয়ের অপরাধ জগতের কবলে পড়েন তিনি। তারপর আরব সাগর দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। নিজের প্রায় প্রত্যেক সাক্ষাৎকারেই নিজের জীবনের অনেক ঘটনা বলেছেন কঙ্গনা। প্রায় বাবার বয়সী অভিনেতার মনোরঞ্জন করা, তাঁর ফ্ল্যাটে মারধর খেয়ে বন্দি অবস্থায় থাকা ইত্যাদি নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছিল কঙ্গনার জীবন। বলিউডে সুযোগ পান কিছুটা ওই অভিনেতার পরিচিতিতে। প্রথম ছবি অনুরাগ বসুর গ্যাংস্টার। একই সঙ্গে কাজ করছিলেন মহেশ ভাটের ছবি “ওয়া লামহে”-তেও। দুটি ছবিই সুপারহিট। কঙ্গনার অভিনয়ের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ে। তিনি এখন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী। নারীকেন্দ্রিক ছবি মানেই কঙ্গনা রানাওয়াত। ইতিমধ্যে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে চারটি জাতীয় পুরস্খার। সম্মানিত হযেছেন পদ্মশ্রী সম্মানে। বর্তমানে তিনি বলিউডে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক প্রাপ্ত নায়িকাদের একজন।
পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন
করোনা মহামারি চলাকালীন দেশবাসীর কাছে
হিরোতে পরিণত হয়ে উঠেছেন অভিনেতা ‘সনু সুদ’। নিজের খরচে প্রবাসী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানো,
বিভিন্ন দুঃস্থ মানুষকে আর্থিকভাবে সাহায্য করা, হাসপাতালে করোনা প্রতিরোধকারী সরঞ্জাম
সরবরাহ ইত্যাদি নানা খাতে সাহায্য করেছেন তিনি। পর্দায় প্রধানত খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়
করলেও বাস্তবে তিনিই এখন নায়ক। সেই সনু সুদও অভিনেতা হওয়ার আশায় প্রায় ২০ বছর আগে বাড়ি
থেকে পালিয়েছিলেন। লুধিয়ানার বাড়ি থেকে ট্রেনে চেপে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি।
বলিউড তো বটেই দক্ষিণ ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও সনু সুদ একটি বলিষ্ঠ নাম।
একের পর এক ব্লকবাস্টার দিয়ে ‘কার্তিক
আরিয়ান’ এখন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর জনপ্রিয়তার কমতি
নেই। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বাই এসেছিলেন কার্তিকও। স্ট্রাগলের দিনগুলিতে ১২
জন রুমেটের সঙ্গে ঘর শেয়ার করতে হয়েছিলো তাকে। অডিশন দিয়ে বাতিল হতে হতে ক্লান্ত হয়ে
পড়েছিলেন তিনি। বাড়িতে এসব কিছুই জানাতেন না। বহুবার বাতিল হওয়ার পর হঠাৎ সুযোগ আসে
‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ সিনেমাতে। কম বাজেটের সিনেমা হলেও সেটি ছিল সুপারহিট। তারপর আর
পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি মেয়েদের হার্টথ্রব এই কার্তিন আরিয়ানকে।
শুনতে অবাক লাগলেও কথাটা সত্যি। অভিনেতা
হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন ‘নাসিরউদ্দিন শাহ’-ও। তাঁর বাবা ছিলেন প্রাচীনপন্থী
এবং অত্যন্ত রাগী। ছেলের অভিনয় পেশার প্রতি আগ্রহ একদমই পছন্দ করেননি। অগত্যা বাড়ি
থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন নাসির। বলিউড তো বটেই হলিউডের সিনেমাতেও নাসিরের অবদান
প্রশংসনীয়। তাঁর অভিনয় প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা হয়তো কারও নেই। বাড়ি থেকে
পালানোর কথা তিনি নিজের আত্মজীবনী ‘দেন ওয়ান ডে’-তেই প্রকাশ করেছেন। নিজের ছেলেদের
অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসায় তাই সর্বদা উৎসাহ দেন এই প্রবীণ অভিনেতা।
আমাদের সকলের জানামতে “কেজিএফ” সিনেমাটি
সুপার ডুপার হিট। এই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন ‘যশ’। এই সিনেমার সুবাদেই অভিনেতা ‘যশ’
এখন সুপারস্টার। বলিউড এবং দক্ষিণ উভয় ইন্ডাস্ট্রিরই তুরুপের তাস তিনি। অথচ অভিনয়ের
ব্যাপারে মধ্যবিত্ত পরিবারের সমর্থন তিনি পাননি। বাবা চেয়েছিলেন ছেলে সরকারি অফিসে
কাজ করুক। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও পরিবারের আপত্তিতে বাড়ি থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত
নেন যশ। পকেটে ৩০০ টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়েই বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন তিনি। প্রথম
ছবিতেই বাজিমাত। বাকিটা সবারই জানা।