জিন নিয়ে কথা বলার আগে প্রথমেই আপনাদের কাছে প্রশ্ন, “আপনার মতে জিন কি সত্যিই আছে?”
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আমি প্রজ্বলিত অগ্নিশিখা থেকে জিন সৃষ্টি করেছি।’
পবিত্র কোরআনে “সূরা জিন” একটি সুরাও রয়েছে। যেখানে জিন সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য দেওয়া আছে। সুতরাং জিন নিয়ে অবিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। জিনের কোনো নির্দিষ্ট আকৃতি নেই। এরা পশু, পাখি বা মানুষের আকৃতিতেই সকলের সামনে আসে। তবে কিছু জিন কোনো আকৃতিতেই সামনে আসে না, অর্থাৎ এদেরকে চোখে দেখা সম্ভব না, শুধু অনুভব হয়। আশ্চর্য হলেও সত্য যে জিনরা মানবদেহের শিরা-উপশিরায় বিচরণ করতে পারে। এমনকি মানুষের জ্ঞানবুদ্ধির ওপরও প্রভাব ফেলে তাকে বিকারগ্রস্তও করে ফেলতে পারে।
পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন
সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকায় শয়তানের পূজারীরা নাচ বা জ্বীনের নাচ বলে যে উৎসব পালন করেছে সেটা সত্যিই ভয়ংকর এবং অবিশ্বাস্য। আফ্রিকা মহাদেশের কিছু দেশের ঐতিহ্যবাহী উৎসব “ভেদো”। প্রতি বছর ১০ জানুয়ারি ভোদো উৎসব পালিত হয়। সেনেগাল, বেনিন ও গ্যাম্বিয়ার দিওলা সম্প্রদায়ের এক ঐতিহ্যবাহী একটি নাচ “কুম্পো”। উৎসবের এক অন্যতম আকর্ষণ এই নাচ। এক ঝলকে দেখলে আপনার কাছে অবিশ্বাসই মনে হবে। মনে প্রশ্ন জাগবে, ‘এ কি করে সম্ভব?’ এটা কি কোনো ব্ল্যাক ম্যাজিক?
একটা খড়ের গাদা ঘূর্ণিরঝড়ের মতো তান্ডব, কখনো ডিগবাজি, কখনো আবার মানুষের মতো চালায় সাইকেল। স্থানীয়দের মতে, নাচ শুরুর আগে খড়ের গাদায় জিন ভর করে। আর এই সব কর্মকান্ড জিন দ্বারাই হয়ে থাকে। কিন্তু এই নাচের পেছনের রহস্যটা কী? একটা ভিডিওতে দেখা যায়, রঙিন খড়ের গাদার মতো কুম্পো নাচতে নাচতে হঠাৎ উল্টে গেলে ভেতর থেকে এক চিকন উলঙ্গ মানুষ বেরিয়ে আসে ! সাথে সাথে লোকজন গিয়ে কুম্পোর মুখ চেপে দেয়।
মূলত বিভিন্ন জাতের পাম গাছের শুকনো পাতা দিয়ে একটি ‘মুখোশ’ তৈরি করা হয়। পাম পাতাগুলো অনেক পুরু থাকে। এই পুরু পাতার ভাঁজে একজন চিকন মানুষ অনায়াসে লুকিয়ে থাকতে পারবে। নাচের আগে কুম্পো উল্টিয়ে মানুষকে দেখায় যে ভেতরে কেউ নেই । কিন্তু ঐ পাতার ভাঁজের মধ্যে একজন লুকিয়ে থাকে। কুম্পো সোজা করলেই সে বেরিয়ে এসে কার্যকলাপ শুরু করে দেয়। কুম্পোর বনবন করে ঘোরার দৃশ্য সবাইকে অবাক করেছে। এই কুম্পো বেশ লম্বা । ভেতরের মানুষটা কুম্পোর উপরে বেঁধে রাখা লাঠি মাটিতে রেখে হাত দিয়ে হাতল ধরে ঘোরায় । ফলে সে নিজে স্থির কিন্তু বাইরের কুম্পোর আবরণটা বনবন করে ঘোরে। কুম্পোকে পানিতে চলতেও দেখা যায়। কুম্পো খুব বেশি ভারী হয় না। ভেতরে থাকা রোগা মানুষটা কুম্পোকে শরীরের সাথে বেঁধে পানিতে নেমে সাঁতার কাটে। দেখে মনে হবে কুম্পো পানিতে হাঁটছে । দিওলা সম্প্রদায়ে কুম্পো ছোঁয়া বা ভেতরে কে আছে যাচাই করতে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ।