মুক্তির অপেক্ষায় দেবের ব্যোমকেশ। অগস্টের ১১ তারিখ বড় পর্দায় আসছে ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য’। ছবি মুক্তির আগে থেকেই চলছে ব্যাপক সমালোচনা। না ব্যোমকেশ হিসেবে দেবকে পছন্দ হচ্ছে বেশিরভাগ দর্শকের, না সত্যবতী হিসেবে রুক্মিণী মৈত্রকে। এমনকি সমালোচিত হচ্ছেন অজিতের চরিত্রে থাকা অম্বরীশ ভট্টাচার্যও। এতদিন পর্দায় ব্যোমকেশের পাশে দর্শক অজিত হিসেবে দেখে এসেছেন শাশ্বত চ্যাটার্জী, আনন্দ তিওয়ারি, ঋত্বিক চক্রবর্তী, রাহুল ব্যানার্জী, রুদ্রনীল ঘোষ, সুব্রত দত্তদের। তাদের তুলনায় অম্বরীশ ভট্টাচার্যকে দৈহিক গঠনের দিক দিয়ে বেশ আলাদাই বলতে হয়।
পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন
সম্প্রতি ছবির ট্রেলার লঞ্চে
অম্বরীশকে এই প্রসঙ্গে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা
এতদিন বাংলা ছবিতে আসলে অজিতের চরিত্রে হিরোদেরই দেখেছি। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, শাশ্বত, রাহুল
সবাই কিন্তু নায়ক। কোনও ক্যারেক্টার আর্টিস্টকে এতদিন অজিত হিসেবে কাস্ট করা হয়নি।
আমি তাই অফারটা পেয়ে একটু অবাক হয়েছিলাম। তারপর মনে হয়েছিল শরদিন্দু পড়ে এতদিন
যেভাবে অজিতকে বুঝে এসেছি আমি, সেটাই
স্ক্রিনে ফুটিয়ে তুলব। তারপর শুভেন্দুদার স্ক্রিপ্ট পড়ে দেখলাম সেটাই এখানে
দেখানো হচ্ছে।’
‘অজিত কিন্তু লেখক। অভিযানগুলোতে
ও রহস্যের সন্ধানে যায় না। যায় সাহিত্যের সন্ধানে। বন্ধু ব্যোমকেশ, যে ওর কাছে হিরো, তার সঙ্গে যায়। আমরা কিন্তু সত্যজিত
রায়ের চিড়িয়াখানায় দেখেছি যখনই বাসুকি সাপটা উত্তমকুমার নিয়ে যান তখন শৈলেনবাবু
অর্থাৎ অজিত ভয় পেয়ে যান। অজিত কিন্তু হিরো নয়। আমি এই ছবিতে দর্শক ও পাঠকের
প্রতিনিধি হিসেবেই ফুটিয়ে তুলেছি চরিত্রটাকে।’
সঙ্গে অম্বরীশ এক কথায় স্বীকার করে নেন তিনি ভাগ্যবান যে তাঁর আগে এত ‘ভালো ভালো অভিনেতা’ ব্যোমকেশ হয়েছে। তাঁদের থেকেই ভালোটা নিয়ে তিনি অজিত চরিত্রটাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
সঙ্গে বিরসা দাশগুপ্তের ‘অজিত’ অম্বরীশ কিন্তু ‘ব্যোমকেশ’ দেবের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ। ইটিভি ভারতকে বললেন, ‘অভিনেতা হিসেবে দেবের তুলনায় অনির্বাণের বেশি ভক্ত আমি। তবে ব্যোমকেশে দেবের সঙ্গে কাজ করার পর বলছি, উত্তমকুমারের পরে দেবই সেরা ব্যোমকেশ।’
যদিও দেব ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন দুর্গ রহস্যই শেষ, আর ব্যোমকেশ করবেন না তিনি। ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য ছবির ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে জানান 'আমার কাছে দুর্গ রহস্য আসলে একটি সাহসী কাজ। আমি দেখাতে চেয়েছিলাম যে একটা গল্পকে কতটা লার্জ স্কেলে দেখানো যেতে পারে। যদি এই ছবি ব্যবসা না করে, প্রযোজকরা যদি তাঁদের টাকা ফেরত না পান আমরা আবার ব্যোমকেশকে ড্রয়িং রুমে নিয়ে যাব। আমি চাই, আগামীতে যাঁরা ব্যোমকেশ করবেন তাঁরা সাহস পান ছবিটিকে বড় স্কেলে শুট করার।'
সমালোচনার পাল্লা ভারী হলেও ধারণা
করা হচ্ছে দেবের এই ব্যোমকেশ বক্স অফিসে ভালোই সাফল্য অর্জন করবে।