ক্যারিয়ারের ১৭ বছর পূর্ণ করেছেন দেব। এই সময়ে প্রচুর বানিজ্যিক ছবি করেছেন তিনি। যার বেশিরভাগই ছিল বক্স অফিস হিট। পাগলু, প্রেমের কাহিনী, পরান যায় জ্বলিয়া রে, চ্যালেঞ্জ, লে ছক্কা, দুই পৃথিবী, খোকাবাবু, চাঁদের পাহাড় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তবে ইদানিং বেশ কয়েক বছর ধরেই অন্যরকম সিনেমা করার চেষ্টায় আছেন তিনি। এবারে তো রীতিমত গোয়েন্দারূপেই আবির্ভূত হচ্ছেন তিনি। জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র ‘ব্যোমকেশ’ নিয়ে খেলা টলিউডে নতুন নয়। গত দেড় দশকে প্রায় হাফ ডজন ব্যোমকেশের দেখা মিলেছে। অবশ্য রুপালি পর্দায় ব্যোমকেশের সফর শুরু উত্তম জমানায়, তাও মহারাজা সত্যজিত রায়ের হাত ধরে।
তবে আধুনিক জমানায় ব্যোমকেশকে বড়পর্দায় জনপ্রিয় করার পেছনে সবথেকে বেশি অবদান আবীর চট্টোপাধ্যায় এবং অঞ্জন দত্তের। তার আগে টেলিভিশনে হিন্দিতেও ব্যোমকেশ তৈরি হয়েছিল। লিড রোল করেছিলেন রাজিত কাপুর। পরবর্তীতে একে একে যিশু সেনগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সুজয় ঘোষ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, গৌরব চট্টোপাধ্যায় বড় পর্দা, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, এমনকি ছোট পর্দাতেও ব্যোমকেশ হিসেবে ধরা দিয়েছেন।
প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত বলিউডে ‘ডিটেক্টিভ ব্যোমকেশ বক্সী’ হয়ে ধরা দিয়েছিলেন। এবার এই পথেই হাঁটবেন দেব। ‘পাগলু ডান্স’ করা দেব গত কয়েক বছরে নিজেকে ভেঙেছেন বিস্তর। কখনও তিনি ‘টনিক', আবার কখনও তিনি ‘নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী’। এবার শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘দুর্গ রহস্য’-এর জট পর্দায় খুলবেন দেব। শুরুতে এই সিনেমা ডিরেক্ট করার কথা ছিল সৃজিত মূখার্জির। তবে তিনি সত্যান্বেষীরূপে চেয়েছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে। এবং সত্যবতীরূপে চেয়েছিলেন সোহিনী সরকারকে। প্রোডিউসার দেবকে যুক্ত করায় সৃজিত সড়ে আসেন এই প্রজেক্ট থেকে। এরপর সিনেমাটি চলে যায় বিরসা দাসগুপ্তের কাছে। অবশ্য সৃজিত নিজেও তার পছন্দের কাস্ট নিয়ে ওটিটিতে দুর্গ রহস্য বানিয়েছেন। সেটিও সামনেই আসবে হইচইয়ের পর্দায়।
যাই হোক, দেবের দুর্গ রহস্যের ট্রেইলার প্রকাশের
পরে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তার ভক্তরা ভীষণ পছন্দ করলেও এলিটিস্টরা করছেন সমালোচনা।
তবে নিউট্রাল পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে দেখলে মেকিং এবং টেকনিকাল দিকগুলোর প্রশংসা করতেই
হয়। ট্রেইলারে লুক অ্যান্ড ফিল দারুণ লেগেছে। তবে সত্যি বলতে ব্যোমকেশ, অজিত এবং সত্যবতী
রূপে দেব, অম্বরীশ এবং রুক্মিনীকে একদমই মানাচ্ছে না। এবার দেখার বিষয় সিনেমাটা কেমন
হয়।