পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন
টাইম ট্রাভেলের কোন শর্টকাট
নেই। সিনেমার মতো এমন কোন কিছু থাকা সম্ভব না যেইটা পোর্টাল হয়ে আছে শুধু টাচ করলেই
আপনি অতীত কিংবা ভবিষ্যতে যেতে পারবেন। বিজ্ঞানিদের মতে অতীতে যাবার একমাত্র উপায় হলো
আলোর গতির চাইতে বেশি গতিতে ভ্রমণ করা। কারন একরকম ধরেই নেওয়া হয় যে আলোর গতি আর সময়ের
গতি সমান কিংবা আলোর গতিই সময়ের গতির একক। অতএব আলো থেকে কেউ বা কিছু যদি আরো বেশি
গতিতে চলতে পারে সে টাইম ট্রাভেল করতে সক্ষম।
এটি পরিষ্কার যে টাইম ট্রাভেল সাধারণ কোনো ঘটনা নয়, এটি
প্রকৃতিবিরোধী। মজার ব্যাপার হলো, আইনস্টাইনের থিওরি
অনুযায়ী যে বিশেষ ক্ষেত্রগুলোর উপস্থিতিতে টাইম ট্রাভেল সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে,
তার সবকিছু আবার স্টিফেন হকিংয়ের কোয়ান্টাম তত্ত্ব সাপোর্ট করছে
না। তবে আইনস্টাইন, স্টিফেন হকিং, থর্নের মতে, ওয়ার্মহোল বাস্তবে পাওয়া সম্ভব
হলে এটা দিয়েই টাইম ট্রাভেল সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হবে বলে মত তাদের। তাই সায়েন্টিফিক
থিওরি অনুযায়ী টাইম ট্রাভেল সম্ভব, তবে বাস্তবিক অর্থে
আলোর গতিতে না পৌঁছাতে পারলে সম্ভব না।
অনেক বিজ্ঞানি
প্রমান করার চেষ্টা করেছেন টাইম ট্রাভেল সম্ভব আবার অনেক বিজ্ঞানি তা একদমই নাকচ করে
দিচ্ছেন। আসলেই কী টাইম ট্রাভেল সম্ভব? চলুন দেখে আসি টাইম ট্রাভেলের পক্ষের কিছু প্রমান।
২০০৮ সালে
কয়েকজন চীনা আর্কিওলজিস্ট চারশত বছর আগের একটি বিশাল আকৃতির পাথর খন্ডের ভেতর থেকে
একটি ঘড়ি উদ্ধার করেন। ঘড়িটি ছিলো একটি আংটির মতো। সুইজারল্যান্ডে নির্মিত ঘড়িটিতে
তখন সময় ছিলো ১০ টা বেজে ৬ মিনিট। কিন্তু ঘড়িটি চলছিলো না। এখন প্রশ্ন হতে পারে চারশ
বছর আগে কী ঘড়ি তৈরির প্রযুক্তি ছিলো? এমনকি তখনতো সুইজারল্যানড নামে কোন দেশই ছিলো
না। তাহলে ঘড়িটি এলো কোথা থেকে? হ্যাঁ নিশ্চিত ভাবেই ঘড়িটি ভবিষ্যতে থেকেই সেই চারশো
বছর আগের পাথরের ভেতর গিয়েছে।
মঙ্গোলিয়ার আলতাই পাহাড়ের একগুহা থেকে বের করে আনা হয় এক অদ্ভুত মমি। দেখতে সাধারণ ১৫০০ ছবর পুরাতন এই মমির পায়ে ছিলো এডিডাসের জুতা। এখন প্রশ্ন হলো ১৫০০ বছর পুরাতন মমি এডিডাসের জুতা পেলো কোথায়?
এখন তাহলে ভাবার বিষয় হচ্ছে টাইম ট্রাভেল প্রযুক্তি কী অলরেডি বিজ্ঞানিদের হাতে চলে এসেছে নাকি আরো সুদুর ভবিষ্যতে আবিষ্কার হবে? উত্তরটা হয়তো অনেকেই জানে কিন্তু কেউই বলতে চায় না। তবে এইটা নিশ্চিত যে বিভিন্ন শক্তিশালী রাষ্ট্র গোপনে টাইম ট্রাভেল এর গবেষনা অনেক আগে থেকেই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বর্ননা করা ঘটনাওগুলো থেকে বোঝা যায় যে আগে হোক বা পরে টাইম ট্রাভেল প্রযুক্তি মানূষের হাতে আসতে যাচ্ছে কখনো না কখনো। আপনার কাছে টাইম ট্রাভেল মেশিন থাকলে আপনি কোথায় যেতেন?