বাংলাদেশের পরিচিত পলিটিকাল পার্টি আছে হাতেগোণা কয়েকটি। আওয়ামী লিগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী। বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ এই চারটি দলের নামই জানে। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করেছিল কতটি দল জানেন? ৮০ টি! এই যে এত এত দল, নির্বাচনী দল গঠন করতে আসলে কি কি ক্রাইটেরিয়া থাকা লাগে? চাইলে কি আপনি-আমিও দল তৈরি করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবো?
পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন
বৈরাবরী পার্টি, মুসকিল লীগ, ইত্যাদি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ, নাকফুল বাংলাদেশ – নামগুলো শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও এগুলো বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নাম। নিবন্ধনের জন্যে পলিটিকাল পার্টিগুলোকে মোট ৩টি শর্তের মধ্যে অন্তত ১টি শর্ত পূরণ করতে হয়। সেই শর্ত গুলো হচ্ছে –
নাম্বার ওয়ান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে অনুষ্ঠিত যে কোনো একটি সংসদ নির্বাচনে অন্তত একটি আসন পেতে হবে।
নাম্বার টু, কোনো একটি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটের অন্তত ৫ পারসেন্ট ভোট পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
নাম্বার থ্রি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে। একইসাথে দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় এবং অন্তত ১০০টি উপজেলায় বা মেট্রোপলিটন থানায় দলীয় কার্যালয় থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলায় দলের সদস্য হিসেবে ন্যূনতম ২০০ জন ভোটার লিস্টেড থাকতে হবে।
এই তিনটি শর্তের মধ্যে অন্তত একটি পূরণ করতে পারলেই সেই দল নিবন্ধন করার যোগ্যতা অর্জন করবে। এরপর সেই আগ্রহী দলকে তাদের দলীয় প্যাডে নির্বাচন কমিশন বরাবর দরখাস্ত করতে হবে। দরখাস্তের সাথে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনি ইশতেহার বা ম্যানিফেস্টো, বিধিমালা, দলের লোগো ও পতাকার ছবি ও দিতে হবে। সাথে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনফর্মেশন প্রোভাইড করতে হয়। যেমন - সেন্ট্রাল এক্সিকিউটিভ কমিটির তালিকা, দলের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ইনফর্মেশন ও দলীয় ফান্ডিং এর সোর্স রিলেটেড ইনফর্মেশন জমা দিতে হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন এগুলো রিভিউ করে দেখে সব ঠিকঠাক আছে কিনা। সব ঠিকঠাক থাকলে এরপর সেই দলের নিবন্ধনের জন্য গ্রিন লাইট দেওয়া হয়।