ক্রিকেটের যে নয়টি রেকর্ড ভাঙা প্রায় অসম্ভব | 9 World Records of Cricket That Are Impossible To Break

Author
0


বলা হয়ে থাকে রেকর্ড তৈরিই হয় ভাঙার জন্য। কিন্তু সব ক্ষেত্রে কি কথাটি সত্যি? সব রেকর্ড কি সত্যিই ভেঙে ফেলা সম্ভব? ক্রিকেটের ১৬৪ বছরের ইতিহাসে এমন কিছু রেকর্ড আছে, যা হয়ত কোনও দিনই আর ভাঙা সম্ভব নয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তেমনই কয়েকটি রেকর্ড।


পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন






স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিং অ্যাভারেজ

স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ৯৯.৯৪ ব্যাটিং অ্যাভারেজের রেকর্ড ভাঙ্গার কথা কোন ব্যাটসম্যান কখনও স্বপ্নেও ভাবেন না। গোড়ার দিকে আট, দশ, বিশটা টেস্ট খেলে হাতে গোনা দুই একজনের সর্বোচ্চ ৭০ অ্যাভারেজ থাকলেও, বেলা শেষে সেটা ৬১ এর উপরে কখনো উঠতে পারে নি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট অ্যাভারেজ মাত্র ২০ টেস্ট খেলা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান অ্যাডাম ভোগসের। ওয়ানডেতেও সর্বোচ্চ অ্যাভারেজ ৬৭। যা করেছেন ডাচ ব্যাটসম্যান রায়ান টেন ডেসকাটে।



মুরালির উইকেট

টেস্টে ৮০০টা এবং ওয়ানডেতে ৫৩৪টা উইকেট আছে শ্রীলঙ্কান লেজেন্ড স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরনের। মোট ১৩৩৪টি উইকেট। ব্যস, সংখ্যাটাই যথেষ্ট। কতটা পথ পেরোলে মুরালির রেকর্ড ভাঙা যাবে সেটা মাপার যন্ত্রই এখনও বের হয়নি।



শচীন টেন্ডুলকারের ইন্টারন্যাশনাল সেঞ্চুরি

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টোটাল ১০০ টি সেঞ্চুরি আছে ইন্ডিয়ান লেজেন্ড শচীন টেন্ডুলকারের। হান্ড্রেড অফ হান্ড্রেডস। কেউ কেউ বলছেন, ভিরাট কোহলি এই রেকর্ডটা ভেঙে দেবেন। তবে দিল্লি এখন অনেক দূরে। ৩৫ বছর বয়সী ভিরাটের এখনো লাগবে ২৫ টি সেঞ্চুরি। শচীনের রেকর্ড অক্ষত থাকার সম্ভাবনাটাই তাই বেশি।



৫৩ বছর বয়েসে উইলফ্রেড রোডসের টেস্ট খেলা

ক্রিকেট দিন দিন ফিটনেস ভিত্তিক খেলা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ৩২ কিংবা ৩৪ বছরে এসেই অবসরের ঘণ্টা শোনা যায়। তবে ইংলিশ ব্যাটসম্যান উইলফ্রেড রোডস ছিলেন অন্য ধাতুতে গড়া। ২২ বছর বয়সে অভিষেক হওয়া রোডস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে গেছেন ৩০ বছর ধরে। শেষ টেস্ট খেলেছেন ৫৩ বছর বয়সে। ভাবা যায়!



গ্রাহাম গুচের এক টেস্টে মোট ৪৫৬ রান 

একটা টেস্টে একজন ব্যাটসম্যান করলেন ৪৫৬ রান। হ্যাঁ, ভারতের বিরুদ্ধে লর্ডসে ১৯৯০ সালে গ্রাহাম গুচ এমন কাণ্ডই ঘটান। গুচ প্রথম ইনিংসে করেন ৩৩৩ রান, দ্বিতীয়টাতে করেন ১২৩ রান। ইংল্যান্ড এই টেস্টে জেতে ২৪৭ রানে।



স্যার জ্যাক হবসের ১৯৯টি ফার্স্ট ক্লাস সেঞ্চুরি 

১৯৯টি সেঞ্চুরি। মানে সেঞ্চুরির ডবল সেঞ্চুরি থেকে একটা কম। এই ১৯৯টি-র মধ্যে স্যার জন বেরি জ্যাক হবস ১৮টি করেছেন আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচে। বর্তমানে ক্রিকেট খেলা কেউ তার এই রেকর্ডের ধারে কাছেও নেই।



ক্রিকেটার হিসেবে পন্টিংয়ের ১০৮টা টেস্ট জয়

দেশের হয়ে ১০০টা টেস্ট খেলাই যখন যে কোনও ক্রিকেটারের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হয়, সেখানে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং ১০৮টা টেস্ট জয়ের স্বাদ নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার সোনালি প্রজন্মে খেলা পন্টিংয়ের এই রেকর্ড কেউ কোনও দিন ভাঙতে পারলে সেটাই হবে আশ্চর্যের।



অধিনায়ক গ্রেম স্মিথের ১০৯টা টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া 

মাত্র ৮টা টেস্ট খেলার পর দেশের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন। বাঁহাতি ওপেনার স্মিথ এরপর দেশকে টানা ১০৮টা টেস্টে নেতৃত্ব দেন। আর একটি টেস্ট আইসিসি একাদশের নেতৃত্ব দেন।  স্মিথ খেলেছেন ১১৭টা টেস্ট, নেতৃত্ব দিয়েছেন ১০৯টাতে। এই বিরল রেকর্ড ভাঙা খুব কঠিন।



জিম লেকারের এক টেস্টে ১৯টা উইকেট 

টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে একটি দলের টোটাল ২০টি উইকেট থাকে। ১৯৫৬ সালে ম্যানচেস্টার টেস্টে অজিদের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের জিম লেকার একাই নিয়েছিলেন ১৯টা উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৯টা, দ্বিতীয় ইনিংসে দশে দশ। দুটো মিলিয়ে ১৯। আজ পযর্ন্ত কেউ এই রেকর্ড ভাঙ্গতে পারেননি, হয়তো কেউ পারবেনও না।


আপনাদের কি মনে হয়? রেকর্ডগুলো কি আদৌ কেউ ভাঙ্গতে পারবে?

মতামত

0Comments

আপনার মতামত লিখুন (0)

#buttons=(ঠিক আছে!) #days=(20)

এই ওয়েবসাইটি ব্যবহারে আপনার অভিজ্ঞতাকে আরো উন্নত করার জন্য কুকিজ ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু আমরা কখনই আপনার সম্মতি ছাড়া আপনার কোনো ডাটা সংরক্ষণ করব না। আরো জানুন
Ok, Go it!