অবিশ্বাস্য! অ্যামেরিকা সম্পর্কিত এই তথ্যগুলো কি আসলেই সত্য? Amazing Facts About America (Bengali)

Author
0


আপনার পরিচিত-অপরিচিত যে কাউকে যদি আপনি জিজ্ঞেস করেন তার ড্রিম কান্ট্রি কোনটি? ৯০% এর বেশি মানুষ উত্তরে বলবে অ্যামেরিকার কথা। পারফেক্ট দেশের কথা চিন্তা করলে আমাদের মাথায় অ্যামেরিকার কথাই ভেসে ওঠে। দেশটি নিয়ে ভালো-খারাপ অনেক কথাই তো শুনি। এবার চলুন তাদের সম্পর্কে এমন কিছু জানা যাক যা আপনাকে অবাক করতে বাধ্য।

সাউথ ডাকোটার মিশেলে অবস্থিত এই প্যালেসটি দেখে কি মনে হচ্ছে? খুবই সুন্দর রঙ্গিন একটি প্যালেস তাই তো? তবে এই প্যালেসটি কিন্তু খুবই ইউনিক। কারণ এটি ইট, বালু, সিমেন্ট, কনক্রিট কিংবা মার্বেল পাথরে তৈরি কোনো প্রাসাদ না। এটি আসলে ভুট্টা দিয়ে বানানো একটি প্রাসাদ! বিশ্বাসযোগ্য না হলেও এটাই সত্যি। অর্থাৎ অনুমতি নিতে পারলে, আপনি চাইলে অ্যাকচুয়ালি এই প্রাসাদটি খেয়েও ফেলতে পারবেন!


পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন



অ্যামেরিকাতে যেকোনো কিছুর দাম বাংলাদেশের মোবাইল কল রেটের মতো! সবকিছু ভগ্নাংশে থাকে। আবার একেক জায়গায় দামও একেক রকম। যেমন কোথাও একটি বার্গার কিনলেন ৪ দশমিক ৪৯ ডলারে, আবার কোথাও দেখবেন ৯ দশমিক ৪৯ ডলার দাম! অথচ টেস্ট কিংবা কোয়ালিটি একই। একটা কোকের দাম দেখবেন ১ দশমিক ৮০ ডলার, আবার অন্য জায়গায় দেখবেন এক কেস অর্থাৎ ১২টি কোকের দাম ৩ দশমিক ৮০ ডলার। মজার ব্যাপার হচ্ছে সবজি ও মাংসের দাম সমান। অনেক জায়গায় সবজির দামই বরং বেশি। এক পাউন্ড গরুর মাংসের দাম দেখবেন ৪ দশমিক ৪৮ ডলার, অন্যদিকে দেখা যাবে এক বক্স পালংশাকের দাম ৪ দশমিক ৯৯ ডলার!


পানির চেয়ে কোকের দাম কম। তাদের কাছে কোকসহ সব ধরনের সফট ড্রিংকসের কমন নাম সোডা। রেস্টুরেন্টগুলোতে সোডার জন্য সাধারণত গ্লাস দিয়ে দেয়, নিজে ভর্তি করে নিতে হয় ভেন্ডিং মেশিন থেকে। আপনি চাইলে রিফিল করে নিতে পারেন ইচ্ছেমতো। মজার ব্যাপার হলো রিফিল করার সুযোগ থাকলেও একেক সাইজের গ্লাসের দাম একেক রকম। কথা হচ্ছে যদি রিফিল করাই যায়, তাহলে কম দামে ছোট সাইজেরটা কিনে বারবার রিফিল করে নিলেই তো হয়। আবার ব্যুফে রেস্টুরেন্টগুলোতে একটা মেন্যুর যা দাম, সম্পূর্ণ ব্যুফের দামও তার কাছাকাছি। দেখা গেলো কোনো রেস্টুরেন্টে যে কোনো একটি আইটেমের দাম ১২ ডলার, আবার বুফে রেস্টুরেন্টে ১১ ডলারে সম্পূর্ণ ব্যুফে লাঞ্চই পেয়ে যাবেন।


অ্যামেরিকানদের সবথেকে বাজে দিক কোনটি জানেন? ব্যাটারা ওয়াশরুমে গিয়ে পানি ব্যবহার করে না! শুধু টিস্যু পেপার ব্যবহার করে। এমনকি হ্যান্ড শাওয়ারও থাকে না কোথাও। ওয়াশরুমের ফ্লোরে পানি ফেলা রীতিমতো অপরাধ।


তাদের দেশের কমলার জুসের টেস্ট তিতা। অবশ্য আমাদের দেশের মতো মিষ্টিকুমড়া দিয়ে বানায় না। তবে সমস্যা হচ্ছে মেশিনে খোসাসহই ব্লেন্ড করে ফেলে।


সবাই মনে করে অ্যামেরিকার অফিশিয়াল ভাষা ইংলিশ। কিন্তু আসলে তাদের কোনো অফিশিয়াল ভাষাই নেই! ইভেন কিছু কিছু জায়গাতে এমন বোর্ডও পাবেন যেখানে ইংলিশের পাশাপাশি ইতালিয়ান, স্প্যানিশ চাইনিজ, ল্যাটিন এমনকি আরবি ভাষাতেও ‘ওয়েলকাম’ লেখা আছে।



উইলবার ও অরভিল রাইটকে সবাই চিনে রাইট ব্রাদার্স হিসেবে। যারা এয়ারপ্লেন বানানোর জন্য বিখ্যাত। যেহেতু তারা বিজ্ঞানী, তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মনে হতে পারে তারা নিশ্চয়ই অনেক উচ্চ শিক্ষিত। আসলে তারা কেউই কলেজও পাশ করে নি! এতটাই কনফিডেন্ট ছিলেন তারা নিজেদের ট্যালেন্টের প্রতি। আবার এটাও বলা যায় এডুকেশন সিস্টেমের প্রতি বিশ্বাস ছিল না তাদের।


কিছুদিন আগেই বার্বি সিনেমা তোলপাড় করে গেলো সিনেমা জগতে। মেয়েদের মধ্যে শুরু হয়েছিল বার্বিজ্বর। এবার তাহলে বার্বি রিলেটেড একটি ডিস্টার্বিং ফ্যাক্ট বলি। ক্যালিফোর্নিয়ার রুথ হ্যান্ডলার ১৯৫৯ সালে তার মেয়ে বারবারার নামে পুতুলটি নাম রেখেছিলেন বার্বি। হ্যান্ডলারের একটি ছেলেও ছিল। যান নাম ছিল কেন। অথচ এখন কেন হয়ে গেছে বার্বির ভালোবাসার মানুষ!


অ্যামেরিকান পতাকাটির ডিজাইনার কে জানেন? জানলে বেশ অবাকই হবেন, একজন ১৭ বছর বয়সী তরুণ করেছিলো এই ডিজাইনটি। ১৯৫৮ সালে রবার্ট হেফট নামক সেই তরুণ তার হাই স্কুল প্রজেক্টের জন্য বানিয়েছিলো এই ডিজাইনটি! মজার ব্যাপার হচ্ছে তার টিচারের সেই ডিজাইনটি খুব একটা পছন্দ হয় নি। সে তাকে বি গ্রেড দিয়েছিলো ঐ প্রজেক্টে। পরে হেফট সেই ডিজাইনটি হোয়াইট হাউজে সাবমিট করে। একদিন হঠাৎ প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারের কল আসে তার কাছে। সে জানায় তার ডিজাইনটি অ্যামেরিকার জাতীয় পতাকা হিসেবে সিলেক্ট করা হয়েছে।


ক্রিস্টোফার নোলানের খুবই আন্ডাররেটেড একটি সিনেমা ইনসোমনিয়া। যেখানে দেখা যায় আল পাচিনো ও রবিন উইলিয়ামসের ক্যারেক্টার আলাস্কাতে একটি হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন করতে গিয়ে অদ্ভুত এক ঝামেলায় পড়ে। তারা গিয়ে দেখে সেই সময়ে আলাস্কাতে রাত হচ্ছে, কিন্তু অন্ধকার নামছে না! ২৪ ঘন্টায় সূর্য ডুবছেই না। এরকম আরো অদ্ভুতুড়ে কারণে মানুষজনের কাছে আলাস্কা খুবই ফ্যাসিনেটিং একটি জায়গা। কিন্তু আপনি কি জানেন এই আলাস্কার ইতিহাস খুবই ইন্টারেস্টিং। একসময় এই আলাস্কা আসলে অ্যামেরিকার অংশ ছিল না। ছিল রাশিয়ার অংশ! খুব বেশি দিন আগের কথা না। ক্রিমিয়ান যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পরে রাশিয়া ঐ এরিয়া থেকে ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলে। ১৮৫৯ সালে তারা অ্যামেরিকার কাছে আলাস্কা বিক্রি করে দিতে চায়। অবশেষে ১৮৬৭ সালে অ্যামেরিকা ৭.২ মিলিয়নে আলাস্কা অঞ্চলটি রাশিয়ার কাছ থেকে কিনে নেয়।

মতামত

0Comments

আপনার মতামত লিখুন (0)

#buttons=(ঠিক আছে!) #days=(20)

এই ওয়েবসাইটি ব্যবহারে আপনার অভিজ্ঞতাকে আরো উন্নত করার জন্য কুকিজ ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু আমরা কখনই আপনার সম্মতি ছাড়া আপনার কোনো ডাটা সংরক্ষণ করব না। আরো জানুন
Ok, Go it!