পৃথিবী চালায় কারা ? Shadow Government

Author
0

 


পুতুল নাচ সম্পর্কে তো আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারনা আছে পর্দার পেছন থেকে সুতা আর কাঠি নাড়িয়ে সামনে থাকা পুতুলটাকে নাচানো হয়, উপস্থিত দর্শকরা যা বেশ উপভোগ করে

এখন আমি যদি বলি, আপনাকেও ঠিক এমন করে কেউ একজন পর্দার আড়াল থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে! চমকে গেলেন? শুধু মাত্র আপনাকে নয়, এই পুরো পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে কোনো একজনের হাতে চলে যাচ্ছে যা আদতে আপনি, আমি, আমরা কেউ টের পাচ্ছি না কিন্তু সত্যিই এমনটা হচ্ছে


পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন



৪৬ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট "জো বাইডেন" যে বাইবেলে হাত রেখে শপথ গ্রহণ করেছিলেন, অনেকেরই ধারনা; সেটি ছিলো মেসোনিক অর্ডার বা ইলুমিনাতির সাথে সরাসরি যুক্ত এর পর থেকে সকলেই মনে করতে শুরু করলো 'জো বাইডেন' সম্ভবত ইলুমিনাতির একজন সদস্য তবে 'জো বাইডেন' এটি একদমই অস্বীকার করেন

 

বিশ্বে জনসংখ্যা ৮০০ কোটিরও বেশি এর মধ্যে ইসরাইলে ইহুদির সংখ্যা ৫৪ লাখ আর বাকি প্রায় এক কোটি ইহুদি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে ইহুদিদের এই সংখ্যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২ ভাগ অর্থাৎ পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদি এই ০.২ ভাগ মানুষ বলতে গেলে সারা বিশ্বের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতিসহ অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে এমনকি বর্তমান পৃথিবীর চলমান পুঁজির ৮৫ শতাংশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে 'ইহুদিরা' এটা কী করে সম্ভব? ইহুদি সম্প্রদায়ের কাছে এমন কি আছে, যা দিয়ে তারা সংখ্যায় এত কম হয়েও সারা বিশ্বকে নিজেদের হাতে নিয়ে নিচ্ছে?

কমিউনিজমের স্বপ্নদ্রষ্টা "কার্ল মার্কস", গোটা বিশ্বের মানুষকে মুগ্ধ করে রাখা ম্যাজিশিয়ান "হ্যারি হুডিনি" "ডেভিড কপারফিল্ড" শ্রেষ্ঠ দুই বিজ্ঞানী "আলবার্ট আইনস্টাইন" "স্টিভেন হকিং" বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক প্রফেসর "নোয়াম চমস্কি" বিখ্যাত লেখক "আর্থার মিলার", "ফ্রানজ কাফকা", "জন স্টেইনব্যাক", "আইজাক আসিমভ" সহ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিডিয়া গ্রুপের মালিক " কিথ রুপার্ট মারডক" সারা বিশ্বের ১৮৫টি পত্রপত্রিকা ও অসংখ্য টিভি চ্যানেল যার নিয়ন্ত্রণে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ সহ সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপের মালিক ও প্রধান নির্বাহী "মার্ক জাকারবার্গ" এই সব নামি দামী বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গ সকলেই ইহুদি ধর্মের

 

ইহুদি সমাজে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের মাঝেই জাতীয়তাবাদী চেতনাটা অত্যন্ত প্রবল ফলে ধীরে ধীরে ইহুদি জাতীয়তাবাদের সৃষ্টি হয়, যেখানে আমেরিকার কোটি কোটি খ্রিষ্টানরাও  তাদের সমর্থন করে এই খ্রিষ্টানরা আমেরিকার রাজনীতিতে বড় প্রভাবক এবং এরা শুধু ইহুদিদের এই জাতীয়তাবাদ আদর্শের কারণেই ইসরাইলকে সমর্থন করে। পুরো বিশ্বের অর্থ, অস্ত্র, খনিজ, ঔষধ, প্রাকৃতিক সম্পদ, খাদ্য, শিল্প-উৎপাদন ও বহুজাতিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থার মূল নিয়ন্ত্রক ইহুদিরা সারা বিশ্বের মোট প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী কর্মকাণ্ডের অর্ধেকের চেয়ে বেশি তাদের অধীনে বলা হয়, আমেরিকা পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করে, আর আমেরিকাকে নিয়ন্ত্রণ করে ইহুদি সম্প্রদায় তা ছাড়া আমেরিকা প্রশাসনের শুধু প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়া অন্য গুরুত্বপূর্ণ বা মূল পদগুলো সবসময়ই ইহুদিদের দখলে থাকে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের অর্থের মূল জোগানদাতা রথসচাইল্ড, রকফেলারসহ অন্য প্রভাবশালী বিত্তবান পরিবারগুলোও ইহুদি সম্প্রদায় থেকে এসেছে

 


"ইলুমিনাতি", "ফ্রি-ম্যাসন", "স্কাল অ্যান্ড বোনস", "বিল্ডারবার্গ গ্রুপ" এসব গুপ্ত সংস্থা মূলত এদেরই তৈরি বলা হয়ে থাকে, হলিউডের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে, "ইলুমিনাতি" সকলের অবচেতন মনে তাদের বিশ্বাসগুলো ঢুকিয়ে দিচ্ছে তথাকথিত গ্লোবালাইজেশনের নামে সারা বিশ্বে বিস্তার করছে তাদের সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব। আমেরিকান লেখক "ফ্রিৎজ স্প্রিংমেইয়ার" তার লেখা "ব্লাডলাইনস অব দি ইলুমিনাটি" বইয়ে বিশ্বের তুখোড় ক্ষমতাধর ১৩ টি পরিবারের কথা উল্লেখ করেছেন "রকফেলার", "রথচাইল্ড", "ব্রুস", "ক্যাডেনডিশ", "ডি মেডিসি", "হ্যানোভার", "হ্যাপসবাগ", "ক্রুপ", "প্ল্যানটাজেনেট", "রোমানভ", "সেইন্ট ক্লেয়ার", "ওয়ারবার্গ" এবং "উইন্ডসর" এই ১৩ টি পরিবারের তত্বাবধানে গড়ে উঠে "বিল্ডারবার্গ গ্রুপ" প্রতি বছর একটি বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে 'বিল্ডারবার্গ গ্রুপ' না, এটা ধুমধাম লাইভ টেলিকাস্ট জমজমাট করে প্রচার করার মতো কোনো সম্মেলন নয় কঠোর গোপনীয়তার সাথে এই মিটিংগুলো হয়ে থাকে এই মিটিং এ উপস্থিত ১০০ থেকে ১৫০ জন শীর্ষ পর্যায়ের ব্যাক্তি বর্গের নাম প্রকাশ করা হয় না প্রচন্ড ক্ষমতাধর এই ব্যাক্তিদের কথায় আমেরিকা, চীন, জাপান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত ওঠাবসা করে এই মিটিংয়ের একটাই উদ্দেশ্য, "এন.ডব্লিউ." অর্থাৎ "নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার" এরা মূলত বিশ্বের অর্থনৈতিক দিকটাকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে কেননা, অর্থ সব বিষয়ের চালিকাশক্তি এরা কোনো সরকারের নিয়ম মেনে চলে না, বরং সরকাররা এদের প্রয়োজন মাফিক আইন-কানুন সৃষ্টি করে সারা বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থাকে তারা একটি ছাঁচে তৈরি করেছে তাদের এই শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ বাক্সবন্দী দাস হিসেবে এইএলিটদের অ্যাজেন্ডাবাস্তবায়ন করছে

 

পৃথিবী আগামী ১০ বছর কিভাবে চলবে! ভালো! নাকি খারাপ! কোন দেশের সাথে কোন দেশের যুদ্ধ হবে বা বন্ধুত্ব হবে সেই ডিসিশন মূলত এরাই দেয় রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের এরা পুতুলের মতোই নাচায় এবং তাদের আদেশই পালর করায়

জ্বি! এভাবেই পর্দার আড়ালে থেকে সুতো আর কাঠি নাড়িয়েই গোটা বিশ্বকে চালাচ্ছে এই "গুপ্ত সরকার"

মতামত

0Comments

আপনার মতামত লিখুন (0)

#buttons=(ঠিক আছে!) #days=(20)

এই ওয়েবসাইটি ব্যবহারে আপনার অভিজ্ঞতাকে আরো উন্নত করার জন্য কুকিজ ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু আমরা কখনই আপনার সম্মতি ছাড়া আপনার কোনো ডাটা সংরক্ষণ করব না। আরো জানুন
Ok, Go it!