গেলো ২৯শে মে অভিনেতা শরিফুল রাজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে কিছু আপত্তিকর
ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী
‘সুনেহরা বিনতে কামাল’ এর সাথে শরিফুল রাজের অপ্রত্যাশিত কিছু মুহুর্ত। ভিডিওতে দেখা
যায়, মধ্য রাতে তারা বেশ মাতাল অবস্থায় রয়েছে এবং অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলছে। যদিও
ভিডিওটি আপলোডের ১৭ মিনিটের মাথায় সেটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। তবুও এই ভিডিওটি নিয়ে তীব্র
সমালোচনার জন্ম দেয় সকলের মাঝে।
এদিকে ঘটনার পরে রাজের স্ত্রী পরিমনি তার ফেসবুক পেজ থেকে রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস মুছে ফেলেন। সবাই ভাবতে শুরু করলো এখানেই বুঝি রাজ-পরি ইতি।
পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন
কিন্তু না। শেষ হয়েও কিছুই শেষ হয়না। ভক্তদের অবাক করে দিয়ে রাজ
আর পরিমনিকে দেখা গেল আবার একসাথে। ছেলে রাজ্য’র ১০ মাস জন্মদিন উপলক্ষে পরি আর রাজ
কে দেখা যায় এক ফেসবুক ভিডিওতে, যেটি পরি তার ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করেন। অনেকে বলছেন,
সন্তান রাজ্য’ই বাবা মা কে এক করেছেন।
এ বিষয়ে পরীমণি তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোষ্ট শেয়ার করেন যে,
‘আপনাদের মধ্যে অনেকের মতো আমিও খুশি হয়ে যাই খবরের এসব শিরোনাম দেখে! সব ভুলে আবার
এক হলেন...। কিন্তু সব কি আর সব সময় এক হয়? আমরা ১০ তারিখটা (যেটি আমাদের জীবনের অনেক
স্পেশাল দিন। আমাদের বাচ্চার পৃথিবীতে আসার দিন এটি) সেলিব্রেট করেছি মাত্র। আগামী
দিনেও করব। যেখানে আমরা জীবনের অন্য কোনো ইস্যু টানব না। ৯ তারিখ রাতে নানাভাই ঢাকায়
আসেন। তারপর এই আয়োজন, সবাই মিলে’।
এর আগেও রাজ-পরি কে নিয়ে বহু বার বহু ধাঁধার জন্ম হয়েছে। পরিমনি
বিয়ের পরে অনেকটাই চেঞ্জ হয়েছে বলেই তার ভক্তদের দাবী। মূলত পরিবর্তনটা এসেছে ছেলে
‘রাজ্য’র জন্মের পরে। অনেকেই মনে করে আগের পরি আর এই পরির অনেক তফাৎ। পরি আগের চাইতেও
নিজেকে অনেক শক্ত করে তুলেছে। সে তার সংসারকে খুবই ভালোবাসে। এজন্যই সে এতোকিছু সহ্য
করে থাকেন। পরিমনিকে নিয়ে অনেকেই ট্রল করে, মজা করে, খারাপ উদাহারণ টানে। সব দোষ কি
তাহলে পরি’রই!!
পরি’কে নিয়ে লেখা একটা ফেসবুক পোষ্টে সেটা তুলে ধরেছে তার কোনো
এক শুভাকাঙ্খী। পোষ্টটি ছিলো এমন,
“পরিমনি কে দেখে সবাই হাসে আজকাল। এতো সফল একটা মেয়ে। স্বামী সংসার যদি ভুলে যেতে পারে, সব মিলে ৬ মাস ও লাগবে না আগের ফিটনেস এ ফিরতে। এক চোখের ইশারায় ৫/৬ টা সিনেমা সাইন করে ফেলার ক্ষমতা আছে এই মেয়ের। ওর কি দরকার লাইভে এসে চোখে পানি ফেলার? কিন্তু ফেলবে। মেয়ে মানুষ এভাবেই বানানো। এমন অনেক সফল মেয়ে আমি চোখের সামনে প্রতিদিন দেখি, টাকা আছে, ক্যারিয়ার আছে, কিন্তু এবিউজিভ রিলেশন থেকে বের হতে পারে না। কেন পারে না? এভাবেই বানানো হয়েছে মেয়ে মানুষ। মেয়ে মানুষ এমন না হলে পৃথিবী থমকে যেতো। প্রকৃতি নিজের জন্যই মেয়েদের এমন করে রাখবে। যে হাজবেন্ড এক বেলা গালি দেয় পরের বেলার তার সাথে শোবার মানসিকতা না থাকলে পৃথিবীতে নতুন মানুষ আসবে না। প্রকৃতি থমকে যাবে। এক একটা মেয়ে যত সহজ, পুরুষ তার হাজার গুন কঠিন। তবু পুরুষ মানুষ কনফিডেন্ট। সে জানে সে যাই করুক নারী তাকে ছেড়ে যাবে না। ইতিহাস এভাবেই প্রবাহমান। অন্য নারীর নড়বড়ে সংসার দেখে তাই হাসবেন না। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখেন। কখনো কি নিজের সংসার এ অপমানিত হননি? প্রেমিক থেকে অপমানিত হননি? মনে হয়েছে ছেড়ে ছুড়ে চলে যাই, কিন্তু গিয়েছেন? পুরুষ তো সীমাহীন ভালবাসা পাবার পরও একই সংসার এ ২/৩ জন স্ত্রী রাখার হাদিস বলে। কিন্তু নারীর কাছে কি এমন আবদার শুনেছেন? এই সবই প্রকৃতির অদ্ভুত খেলা। যুগ থেকে যুগে নারী যদি সয়ে না যায় পৃথিবীর নতুন মানুষ কে গর্ভে ধারণ করবে? নারীকে সীমাহীন ব্যাথা সহ্য করার ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। এই কষ্টের ভাগীদার কেউ হতে পারবে না। তাই কঠিন কথা নয়, একজন নারী হয়ে অন্য নারীকে শুধুই মমতা দিন, কাঁধ এগিয়ে দিন”।
আবারো পরি রাজ এক হোক। সংসারে শান্তি ফিরুক। এটাই তাদের ভক্তদের
আশা।