হাতের রেখায় বিবাহ, কতটুকু সত্য? Is fortune-telling based on the lines of the hand truly accurate?

Author
0

 


মানুষের ভাগ্য নাকি তার হাতেই লেখা থাকে অতীত, বর্তমান, ভবিষৎ সবই হাতের রেখায় ফুটে আছে, এমনটাই দাবী কিছু গণকদের গণক মানে, যারা হাত দেখেই বলে দিতে পারে আপনি কতটা দুঃখে আছেন! সামনে আপনার একটা বড় বিপদ আছে, আপনার কাছের মানুষই আপনার শত্রু সেই বিপদটা আপনি কাটাতে পারলেই আপনার জীবনে সুখের সম্ভাবনা অনেক। না আমি কোনো জ্যোতিষি নই, তবে আসল জ্যোতিষিরা বেশিরভাগ সময়ই এরকম কিছু লাইন বলে থাকে মানুষের হাত দেখে এবং সেটা মিলেও যায় কিন্তু কিভাবে? তাহলে কি সত্যিই হাতেই মানুষের ভাগ্য লেখা!!

 

পুরো লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিওটি দেখুন



ভাগ্য বলাবাভবিষ্যদ্বাণী ভাগ্য যে গণণা করে বলে দেওয়া যায় এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই তবে কিছু ভবিষ্যৎবিদরা "জ্যোতিষশাস্ত্র", "ট্যারোট কার্ড", "পাম বিদ্যা" এসবের মাধ্যমে কিছু উদ্ভট ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে, যা শুনে যে কেউ ভাবতে বাধ্য যে ভবিষ্যৎ বুঝি আসলেই দেখা সম্ভব

মানুষ নিজের ভাগ্য জানার জন্য কেনো এতো আগ্রহী থাকে? এর কারণ, মানুষ তার ভবিষৎ নিয়ে সবসময়ই চিন্তিত থাকে সে আসলে জানতে চায় তার ভাগ্যে কি লেখা আছে! সামনে কোনো দুঃখ আছে কিনা! বিপদ আছে কিনা! যদি বিপদ থাকে, তবে সেটা মাথায় রেখে সে পথ চলে যদিও এটা তখন তার বড় চিন্তার কারণ

আরো সহজভাবে বুঝতে গেলে, মানুষ তার জীবনের একটা সহজ পথ খোঁজে এবং যখন সে তার ভাগ্য জানতে পারে তখন সে একটু নিশ্চিত থাকে আর যারা এসব বিশ্বাস নাও করে, তারাও কখনো কখনো সতর্ক হয়ে চলে

তবে হাত দেখে ভাগ্য বলার বিষয়টি বিজ্ঞান সমর্থন করে না জ্যোতষিরা মূলত কিছু পন্থা অবলম্বন করে থাকে মানুষকে এসব বিশ্বাস করানোর জন্য

মানুষ আতি আবেগপ্রবণ আর এই জিনিসটা মাথায় রেখেই কিছু হস্তগণনাকারীরা মানুষের দূর্বলতা নিয়ে কথা বলে সুখ, দুঃখ এসব ব্যপারে মানুষ খুবই সংবেদনশীল তাই ভবিষৎ জানার পরে, মানুষ সেটা বিশ্বাস না করলেও, নিজে সতর্ক হয়ে চলে

কোল্ড রিডিং এটি এমন একটি কৌশল যা হস্তগণনাকারীরা ব্যবহার করে মানুষকে এটা বোঝাতে যে তাদের দৈব ক্ষমতা রয়েছে কোল্ড রীডাররা সাধারণ কিছু লাইন ব্যবহার করে যা যে কারও জন্য প্রযোজ্য হতে পারে যেমন অতীতে সকলেরই কোনোনা কোনো বড় ধরনের দুঃখের ঘটনা রয়েছে এখন কাঊকে যদি অভিনয় করে এইসব কথা বলা হয়, তখন সে অবশ্যই বিশ্বাস করবে আবার কাউকে যদি বলা হয়, সামনে আপনার বড় কোনো বিপদ আসবে তখন এটাও বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে, কারণ মানুষ চায় জীবনের বিপদগুলো এড়িয়ে চলতে তাই তখন সে নিজে সতর্ক থাকবে

হস্তগণনাকারীদের বর্ণনাগুলি প্রায়শই অস্পষ্ট হয়, তারা নির্দিষ্ট করে কিছু বলে না ফলে ভবিষৎ কাকতালীয়ভাবে অনেক কিছুর সাথেই সেটা মিলে যেতে পারে

 


উদাহরণস্বরূপ, জ্যোতিষশাস্ত্র এমন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে যে, আকাশের তারা এবং গ্রহের অবস্থান আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে যদিও এর কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তব জগতের ঘটনার মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই

 

একইভাবে, ট্যারোট কার্ড -গুলোতে থাকা ছবিগুলির প্রতীকী কিছু অর্থ রয়েছে যা দিয়ে ভবিষ্যতের ঘটনা ব্যাখ্যা করে এই দাবিও বিজ্ঞান সমর্থন করে না আসলে, অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে টেরোট রিডিং আসলে এলোমেলো অনুমানের ওপর ভিত্তি করে বানানো

 

তাহলে, কেন মানুষ এখনও ভাগ্য বলতে বিশ্বাস করে? এখানে কিছু কারন আছে

প্রথমত, আগে থেকে ভাগ্য জানা থাকলে আমরা সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো বলে কিছু মানুষের বিশ্বাস যখন আমরা জানি না যে ভবিষ্যতে কী আছে, তখন নিজেদের ভেতর অস্থিরতা কাজ করে ভাগ্য গণনা আমাদের মধ্যে বিভ্রম সৃষ্টি করে, এবং আমরা নিশ্চিত থাকি এই ভেবে যে সামনে কি আসছে, সেটা আমরা জানিই

দ্বিতীয়ত, ভাগ্য জেনে আমরা নিজেদের জীবনে ঘটা ঘটনার সাথে রিলেট করি যে আসলে এটা তো এই কারণেই হয়েছে

 

আপনি ভাগ্য গণনা বিশ্বাস করেন কি না তা আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত তবে, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এটি ফরচুন টেকিং বা ভাগ্য বলা আদতে ভাওতাবাজী ছাড়া কিছুই না যদি এটা সত্যিই হতো তাহলে মানুষ কখনো বিপদে পড়তো না আগে থেকে জানা ভাগ্য ধরেই এগোতো

মতামত

0Comments

আপনার মতামত লিখুন (0)

#buttons=(ঠিক আছে!) #days=(20)

এই ওয়েবসাইটি ব্যবহারে আপনার অভিজ্ঞতাকে আরো উন্নত করার জন্য কুকিজ ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু আমরা কখনই আপনার সম্মতি ছাড়া আপনার কোনো ডাটা সংরক্ষণ করব না। আরো জানুন
Ok, Go it!