দুঃসংবাদ
এল আলিয়ার পরিবারে। প্রিয়জনকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ মহেশকণ্যা।
বছর
দুই আগের কথা, প্রিয় বিড়াল পরি’র মৃত্যুতে ইন্সটাগ্রামে শোক প্রকাশ করে আলিয়া। মানসিকভাবে
ভেঙেও পড়েন তিনি। এবার নিজের দাদাকেই হারালেন এই অভিনেত্রী।
গত কয়েকদিন ধরে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু, সকলকে কাদিয়ে অবশেষে চির বিদায় নিলেন নরেন্দ্র নাথ রাজদান। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিলো ৯৩ বছর।
দাদুর মৃত্যুর কথা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায়
জানিয়েছেন আলিয়া ভাট। শেয়ার করেছেন দাদুর জন্মদিনে কেককাটার একটি ভিডিও। ভিডিওতে
দেখা যায়, সপরিবারে জন্মদিনের কেক কাটছেন আলিয়ার দাদু। কেকের উপর লাগানো মোমবাতি
হাতে করে নেভাতে সাহায্য করছেন রণবীর। পোষ্টটিতে আলিয়া লেখেন, “মাই গ্রান্ডপা, মাই
হিরো।“
আবেগে আপ্লুতো হয়ে আলিয়া আরো লেখেন, তার দাদা
৯৩ বছর পর্যন্ত গলফ খেলেছেন। ৯৩ বছর পর্যন্ত ওয়ার্কাউট করেছেন। তিনি ভালো অমলেট
বানাতেন, ভালো ভায়োলিন বাজাতেন, ভালো গল্প বলতেন, নাতনীদের ভালো সময় দিতেন।
আলিয়া আরো জানায়, দাদুর সাথে অনেক ভালো সময়
কাটিয়েছেন তিনি।
আলিয়া জানায়, সে একই সাথে কষ্ট পাচ্ছে আবার
সুখ অনুভব করছে এই ভেবে যে তার দাদু তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। অনেক ভালো ভালো উপদেশ দিয়েছেন, যা পরবর্তীতে তার
নিজের জীবনে অনেক হেল্পফুল হবে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে আলিয়ার দাদার মৃত্যুর খবর
শোনা মাত্রই শোকবার্তায় ভরে গিয়েছে কমেন্ট বক্স।
আলিয়া ভাট বরাবরই তাঁর দাদুকে ভীষণ ভালবাসতেন।
তাঁদের বেড়ে ওঠা, শৈশব সবটাই জড়িয়ে রয়েছে দাদুর সঙ্গে। তাই দাদুর মৃত্যুতে ভেঙে
পড়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোষ্টে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেন। করণ
জোহর থেকে শুরু করে মাসাবা গুপ্তা সকলে তাঁকে সমবেদানা জানান।
দিন কয়েক আগেই আইফা
অ্যাওয়ার্ডের আসরে যোগ দিতে আবু ধাবি উড়ে যাওয়ার কথা ছিল আলিয়ার। সেরা অভিনেত্রীর
পুরস্কার পেয়েছেন রণবীর ঘরণী। এয়ারপোর্টে পৌঁছেও দাদুর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি
হয়েছে শুনে হাসপাতালে ছোটেন আলিয়া। দুঃসময়ে পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছেন
অভিনেত্রী। এর জন্য আয়োজকদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে পুরস্কারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করেন আলিয়া।
নিজের বাবার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে বছর কয়েক আগে সোনি রাজদান জানিয়েছিলেন, “ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী রাম গোপালের সঙ্গে সারা ইউরোপ ট্যুর করতেন তাঁর বাবা। ভায়োলিন বাজাতেন তিনি। তেমনই এক কনসার্টের ব্যাকস্টেজে সোনির মায়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর, তারপর শুরু হয় প্রেম, প্রেম থেকে বিয়ে।