শাবনুরকে নিয়ে আসলে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন হয় না। কারণ শাবনুর নিজেই নিজের তুলনা। বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনুর। ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে দেড়শ’র বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। অনেক নায়কের সাথে প্রথম সিনেমাতেই করেছে বাজিমাত। তার হাসি, চেহারা, রূপ সবকিছু মিলিয়ে সে যেন সকলের স্বপ্নের নায়িকা। তার অভিনয়ের দাপটে সমসাময়িক অন্য নায়িকারা যেন টিকতেই পারতো না। তাদের মধ্যে একজন হলো চলমান পর্দায় উপস্থিত থাকা নায়িকা “পূর্নিমা”।
“চির যৌবনা” খ্যাত
অভিনেত্রী পূর্নিমা। বয়সের কাটা ঘোরে তার উল্টো দিকে।
১৯৯৭ সালে “এ জীবন তোমার আমার” সিনেমা দিয়ে পূর্নিমার যাত্রা শুরু। পুর্নিমা তার ক্যারিয়ারেও অর্জন করেছে পুরষ্কার এবং সাথে অনেক জনপ্রিয়তা। তার জনপ্রিয় দুটি সিনেমা ‘মনের মাঝে তুমি’ ও ‘হৃদয়ের কথা’ যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে দর্শক। এই সিনেমাদুটোর গানগুলোও বেশ জনপ্রিয়। পূর্নিমার সাথে রিয়াজের জুটি দর্শককে বেশ মাতিয়েছিলো। এছাড়াও রিয়াজের সাথে “মেঘের পড়ে মেঘ” এবং শাকিব খানের সাথে “সুভা” এই দুটি সিনেমাও বেশ ভালো হয়েছিলো।
তবে কথা যখন শাবনুর
আর পূর্নিমা। তখন কে সেরা? এটা নির্বাচনে শাবনুর থাকবে এগিয়ে।
শাবনুর তার ক্যারিয়ারে
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার, ৬ বার বাচসাস পুরষ্কার এবং বিভিন্ন
সময় আরও প্রায় অর্ধশত পুরষ্কার লাভ করেছেন। সেই সাথে অর্জন করেছেন কোটি কোটি মানুষের
ভালোবাসা। তার জনপ্রিয়তার ধারে কাছে কেউ যেতে পারেনি এখনো পর্যন্ত।
অন্যদিকে পূর্নিমা
তার ক্যারিয়ারে এখনো পর্যন্ত একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার ও ৩ বার মেরিল প্রথম আলো
পুরষ্কার পেয়েছেন। দর্শক মহলে পূর্নিমা তার রূপ, যৌবনে বেশ আলোচিত। বলা হয়ে থাকে, পূর্নিমার
বয়স কমে না। দিন দিন সে যেন আরো যুবতী হয়ে উঠছে।
শাবনুর আর পূর্নিমাকে ধরা হয় একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। দুজনেই বেশ কিছু সিনেমায় একসাথে কাজ করেছে। সেসময় শাবনুর তার সমসাময়িক সকল নায়িকাদের সাথেই কাজ করতো। যদিও পরিচালকরা ফ্রেমে শাবনুরকেই বেশি স্পেস দিতো।
পর্দায় শাবনুর যেমন সাবলীল, তেমনি পূর্নিমাও তার এক্সপ্রেশনের দিক দিয়ে বেশ এগিয়ে। একটা সময় শাবনুর সিনেপাড়া থেকে সরে গেলেও, পূর্নিমাকে সচল দেখা যায়। সিনেপাড়ায় যখন গুঞ্জন রটে শাবনুর আর পূর্নিমা একে অন্যের সাথে দা-কুমড়া সম্পর্ক। তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় দুইজনকে হাস্যরসে মশগুল দেখা যায়। পুর্নিমা অকপটে নিজেই স্বীকার করে নেয়, শাবনুর তার থেকে টু মাচ বেটার।
শাবনুরের সর্বশেষ
সিনেমা ছিলো ২০১৮ সালে “পাগল মানুষ”। অন্যদিকে পূর্নিমাকে লাস্ট দেখা গিয়েছে “টু বি
কন্টিনিউ” সিনেমাতে। এরপরে অবশ্য পূর্নিমাকে প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চে দেখা যায়।
অন্যদিকে শাবনুর
পর্দায় আবার ব্যাক করবে বলেও জানিয়েছে। তবে সেটা কবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তার
প্রিয় চরিত্র অথবা গল্প পছন্দ হলেই সে আসবে। আর আমরাও রইলাম সেই অপেক্ষায়।